ছবি: সংগৃহীত
সালাম অর্থাৎ শান্তির শুভেচ্ছা। ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির একটি মৌলিক অংশ। সালাম দেয়া একটি সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ আমল। যা মুসলিম সমাজে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও বন্ধুত্বের বন্ধন তৈরি করে। ইসলামে সালামের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক শিক্ষা।
সালামের অর্থ ও তাৎপর্য
সালামের অর্থ হলো শান্তি। ইসলামি পরিভাষায় আসসালামু আলাইকুম (শান্তি আপনার উপর বর্ষিত হোক) বলে সালাম দেয়া হয়। যা একে অপরের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা ও সাফল্য কামনা করে। সালাম দেয়া একটি সদা স্মরণীয় আমল। যা ব্যক্তির নৈতিক চরিত্রকে উন্নত করে। সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে।
হাদিসে সালামের প্রশংসা
হাদিসে সালামের গুরুত্ব ও সুফল উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, আপনারা একে অপরকে সালাম দিন। কারণ সালাম দেয়ার মাধ্যমে একে অপরের মধ্যে সৌহার্দ্য ও প্রেম বৃদ্ধি পায়। (সুনানে আবু দাউদ)। যে ব্যক্তি সালাম দেয়, সে জান্নাতের দিকে প্রথম পদক্ষেপ নেয়। (মুসনাদ আহমদ)। সালামের উত্তর দেয়া ফরজ, সালাম দেয়া মুস্তাহাব।(সহিহ মুসলিম)।
এ হাদিসগুলো থেকে স্পষ্ট হয় সালাম দেয়া এবং তার উত্তর দেয়া উভয়ই ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
সামাজিক প্রভাব
সালাম শুধু একটি শব্দ নয়। বরং এটি একটি সামাজিক ও মানবিক বন্ধনের প্রতীক। যখন একজন মুসলিম সালাম দেয়। তখন সে অপর ব্যক্তিকে সম্মানিত করে। এটি সম্পর্কের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে। সালামের মাধ্যমে আমরা একে অপরকে আলিঙ্গন করি। যা আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহানুভূতি বৃদ্ধি করে।
সালাম ইসলামের একটি মৌলিক অনুষঙ্গ। যা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ইসলামের নৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের উচিত সালাম দেয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। একে অপরকে শান্তি ও নিরাপত্তার বার্তা পৌঁছানোর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা। সালামের মাধ্যমে আমরা সমাজে একটি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।