ছবি: সংগৃহীত
ইসলাম ধর্মে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও রমজানের রোজা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ বা অবশ্যপালনীয় ইবাদত। তবে অসুস্থতা, ভ্রমণ বা অন্য কোনো বৈধ কারণে যদি কেউ এ ফরজ ইবাদতসমূহ সঠিক সময়ে আদায় করতে না পারেন, তখন তাকে সে নামাজ ও রোজা কাজা হিসেবে আদায় করতে হয়। কাজা নামাজ ও রোজা আদায়ের সঠিক নিয়ম মেনে ইবাদত করলে আল্লাহ তা'য়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ইবাদতের ফজিলত লাভ করা সম্ভব।
কাজা নামাজ যেভাবে আদায় করবেন
যারা এক বা একাধিক ওয়াক্তের নামাজ ছুটে গেছে, তাদের জন্য তা কাজা করা জরুরি। কাজা নামাজ আদায়ের কয়েকটি নিয়ম রয়েছে:
ইচ্ছা (নিয়ত): কাজা নামাজ আদায়ের আগে সঠিক নিয়ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আমি আজকের ছুটে যাওয়া ফজরের নামাজ কাজা করছি বলে নিয়ত করা যেতে পারে।
নিয়মিত আদায়: কাজা নামাজ যত দ্রুত সম্ভব আদায় করা উত্তম। চেষ্টা করা উচিত প্রতিদিনের ফরজ নামাজের পর ছুটে যাওয়া নামাজগুলো নিয়মিত কাজা পড়ে ফেলার।
প্রথমে কাজা, পরে নফল: যদি কারো ওপর কাজা নামাজ বাকি থাকে, তাহলে আগে সে কাজা নামাজ আদায় করা উচিত। তারপর নফল নামাজ পড়া উত্তম।
পাঁচ ওয়াক্তের কাজা: নামাজ ছুটে গেলে পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে যেটি ছুটে গেছে, সে অনুযায়ী নিয়ত করে এবং ফরজ রাকাত সংখ্যা অনুযায়ী কাজা আদায় করতে হয়।
কাজা রোজা যেভাবে আদায় করবেন
রমজান মাসে যারা অসুস্থতা বা ভ্রমণের কারণে রোজা রাখতে পারেননি, তাদের জন্য সেগুলো কাজা করা ফরজ। কাজা রোজা আদায়ের নিয়ম:
রোজার নিয়ত: কাজা রোজার জন্য নিয়ত অত্যন্ত জরুরি। রমজান মাসের রোজার মতোই কাজা রোজার নিয়ত করতে হয়। নিয়ত করা যায় রাতের মধ্যে বা ফজরের আগে।
যত দ্রুত সম্ভব আদায়: রমজানের পর যত দ্রুত সম্ভব কাজা রোজা রাখার চেষ্টা করা উত্তম। এতে রমজানের ফজিলত বজায় থাকে।
একটানা বা আলাদা আলাদা: কাজা রোজা একটানা রাখাও যেতে পারে, আবার বিরতিসহও রাখা যায়। যেমন, একদিন রোজা রেখে পরের দিন রাখা না গেলেও কোনো অসুবিধা নেই।
ফিদিয়া (মুক্তিপণ): যারা কোনোভাবেই রোজা রাখতে সক্ষম নন, যেমন দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থ ব্যক্তি বা বৃদ্ধ মানুষ। তারা রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া দিতে পারেন। এটি হচ্ছে দরিদ্র মানুষকে খাবার দান করা।
কাজা ইবাদতের গুরুত্ব
ইসলামে সময়মতো ইবাদত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। তবে বৈধ কারণে ইবাদত ছুটে গেলে কাজা করে তা পূরণ করাও আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় রহমত। কাজা ইবাদত করার মাধ্যমে মুসলিমরা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন।
তাই ফরজ ইবাদতগুলো যেকোনো অবস্থাতেই সঠিকভাবে আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। যদি তা ছুটে যায় তবে দ্রুত তা কাজা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।