ফাইল ছবি
পৃথিবীতে দোষমুক্ত মানুষ নেই। সুতরাং নিজের মধ্যে দোষ রেখে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো চরম বোকামি। কোনো ব্যক্তির মন্দ গুণ থাকলে সেসব গুণ প্রকাশ করতে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
এ বিষয়ে মহানবী (সা.) অন্যের দোষ এড়িয়ে যেতে বলেছেন।
রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের চোখে পতিত সামান্য ময়লাটুকুও দেখতে পায়, কিন্তু নিজ চোখে পতিত খড়কুটাও (বেশি ময়লা) দেখে না। (সহিহ ইবনে হিববান, হাদিস : ৫৭৬১)
যে ব্যক্তি অন্যের দোষ খোঁজে আল্লাহ তার দোষ খোঁজেন। মহানবী (সা.) মানুষের দোষ-ত্রুটি খুঁজতে নিষেধ করেছেন এবং এর মন্দ পরিণতি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা দোষ-ত্রুটি তালাশ করবে না।
কারণ যারা তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষ-ত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩২)
অন্য হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয় বিষয় গোপন রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার গোপনীয় বিষয় গোপন রাখবেন। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয় বিষয় ফাঁস করে দেবে, আল্লাহ তার গোপনীয় বিষয় ফাঁস করে দেবেন।
এমনকি এই কারণে তাকে তার ঘরে পর্যন্ত অপদস্থ করবেন। (ইবনু মাজাহ : ২৫৪৬)
অপর এক হাদিসে আল্লাহ তাআলা অন্যের প্রতি মন্দ ধারণা করা এবং অন্যের দোষ খোঁজা নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, হে ঈমানদাররা, তোমরা বহুবিধ ধারণা হতে দূরে থাক; কারণ কোনো কোনো ধারণা পাপ আর তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান কর না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা (গিবত) কর না। (সুরা হুজুরাত ১২)
আপন দেশ/মাসুম
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।