ফাইল ছবি
মুমিনের আদর্শ নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তার দেখানো পথে রয়েছে মুক্তি ও সফলতা। তিনি বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন। কেউ যদি দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবীজির সুন্নত অনুসারে আমল করে তাহলে তার সারাটা দিন ইবাদতেই কাটবে।
নবীজির আমল গুলো হলো-
এক. ফজরের নামাজের মাধ্যমে দিন শুরু করা। ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়ার সবচেয়ে দামি জিনিস। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে, সব কিছু থেকে উত্তম। (মুসলিম: ১৫৭৩)
দুই. কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে যার দিন শুরু হয়, দিনটি তার জন্য কল্যাণকর ও নিরাপদ। মহান আল্লাহ বলেন, ফজরের সময় কোরআন তেলাওয়াতে যত্নবান থাকো। স্মরণ রেখো, ফজরের তেলাওয়াতে (ফেরেশতাদের) সমাবেশ ঘটে থাকে। (সুরা ইসরা: ৭৮)
তিন. যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে আগে আগে ঘুম থেকে উঠে তার দিনটি শুভ ও নিরাপদ। ভোররাতে বা দিনের শুরুতে সবচেয়ে বেশি কল্যাণ থাকে। শুধু ইবাদত-বন্দেগি নয়, বরং পার্থিব কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। সখর গামেদি (রা.) বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দোয়া করেছেন, হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন। এ জন্যই নবীজি কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী সাহাবি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তার ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তার ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ: ২৬০৬)
চার. সুস্থতা, অভাবহীনতা ও পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যার দিন শুরু হয়েছে, দিনটি তার জন্য শুভ ও নিরাপদ। উবাইদুল্লাহ ইবনু মিহসান আল-খিতনি (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরিবার-পরিজনসহ নিরাপদে সকালে উপনীত হয়, সুস্থ শরীরে দিনাতিপাত করে এবং তার কাছে সারা দিনের খোরাকি থাকে, তাহলে তার জন্য যেন গোটা দুনিয়াটাই একত্র করা হলো। (তিরমিজি: ২৩৪৬; আল আদাবুল মুফরাদ: ৩০০)
পাঁচ. হজরত আবুদ দারদা (রা.) বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ৭ বার নিম্নোক্ত দোয়া পড়বেন আল্লাহ তায়ালা বিপদাপদ ও দুশ্চিন্তা দূর করে দেবেন। حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ ، عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ (উচ্চারণ: হাসবিয়া আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আযিম।)
অর্থ: আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। তার উপরই আমি তাওয়াক্কুল করি। তিনি মহান আরশের অধিপতি) আল্লাহ্ তার দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮১)
আপন দেশ/মাসুম
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।