কোরআন শরিফ। ফাইল ছবি
মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। সবার দোষ-গুণ রয়েছে। ভুল মানুষই করে। ফেরেশতা কখনও ভুল করে না। তাই অন্যের দোষ খোঁজা ও প্রচার করা মুমিনের উচিত নয়। যে অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে মহান আল্লাহও তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখেন।
আল্লাহ তাআলা অন্যের দোষ খুঁজতে নিষেধ করে বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا অর্থ: হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা বহুবিধ ধারণা হতে দূরে থাক। কারণ কোনো কোনো ধারণা পাপ আর তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান কর না। (সুরা হুজরাত ১২)
কেউ যদি জানে তার দোষ খোঁজা হচ্ছে তাহলে সে নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে। যা কোনোভাবেই উচিত নয়। কোরআনে আছে, যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ আর স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। (সুরা আহজাব ৫৮)
অন্য আরেক বর্ণনায় আছে- তোমরা পরস্পর সম্পর্ক ছেদ কোরো না। একে অন্যের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হয়ো না। পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ কোরো না। পরস্পর হিংসা কোরো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও। (বুখারি ৫১৪৩)
দোষ খোঁজা তো অনুচিত। কেউ যদি অন্যের দোষ জেনেও থাকে তবুও তা প্রচার করা যাবে না। এক্ষেত্রে যদি সে গোপন রাখে তাহলে তার দোষ আল্লাহ তাআলা গোপন রাখবেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো বান্দার দোষ গোপন রাখে, মহান আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (মুসলিম ২৫১০)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরেক হাদিসে বলেন, তোমরা মুসলমানদের দোষ-ত্রুটি, ভুলভ্রান্তি খুঁজে বের কর না। যে ব্যক্তি অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায় ও প্রকাশ করে দেয়, স্বয়ং আল্লাহ তার দোষ প্রকাশ করে দেন। আর আল্লাহ যার দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করেন তাকে নিজের বাড়িতেই লাঞ্ছিত করেন। (আবু দাউদ ৪৮৮০)
আপন দেশ/কেএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।