Apan Desh | আপন দেশ

২০২৫ সালে ধর্মীয় কোন উৎসব কবে

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ১ জানুয়ারি ২০২৫

২০২৫ সালে ধর্মীয় কোন উৎসব কবে

ফাইল ছবি

২০২৫ সালে শবে বরাত, রমজান, শবে কদর ও দুই ঈদসহ ইসলামী ইবাদত ও উৎসব আগের ধারাবাহিকতায় উদযাপিত হবে। ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আনন্দ উদযাপনের সুযোগ ইসলাম প্রদান করে। ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী, হালাল উপার্জন ও ইবাদত দুটোই পালন করা বাধ্যতামূলক। এ উদ্দেশ্যে আল্লাহ প্রতিদিন নামাজ, রমজানে রোজা, সামর্থ্যবানদের জন্য হজ ও সাধ্যমতো জাকাত আদায়ের বিধান দিয়েছেন।

ইসলামে ইবাদত ও আনন্দ উদযাপনের বিধান-
ইসলাম কখনো মানুষের স্বভাবজাত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়নি। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে সুখ-শান্তিতে বসবাসের জন্য আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের কথা বলেছে। প্রতিদিন নামাজ আদায়, বছরে একবার রমজানে রোজা পালন, সামর্থ্যবানদের জন্য হজ পালন ও জাকাত আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইবাদতের প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে বছরের বিশেষ বিশেষ কিছু দিনে ইবাদতের আলাদা ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন, শবে কদর, শবে বরাত, আশুরার দিনে নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে বিশেষ ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। 

আবার ইবাদতের পাশাপাশি আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় আনন্দ উদযাপনের কথাও বলা হয়েছে ইসলামে। উদযাপনের জন্য বছরে দুই ঈদ রাখা হয়েছে ইসলামে। ঈদের উৎসব এবং আনন্দ-উদযাপনের ব্যাপারে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন তখন তিনি দেখলেন সেখানে আগে থেকে বসবাস করা মানুষেরা বছরে দুইটি বিশেষ উৎসব পালন করছে (গান-বাজনা, ঢোল-তবলা বাজিয়ে)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উৎসব পালনের এ রীতি অপছন্দ করলেন। তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এ দুই দিনে তোমরা কিসের উৎসব পালন করো?

২০২৫ সালের শবে বরাত, রমজান, শবে কদর ও ঈদ কবে?

২০২৫ সালের শবে বরাত, রমজান, শবে কদর, ঈদ ও হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিধানগুলো কবে, কত তারিখে পালন করতে হবে জেনে রাখার সুবিধার জন্য এখানে সম্ভাব্য তারিখ তুলে ধরা হলো- 

শবেবরাত-১৫ ফেব্রুয়ারি, (শনিবার)।

বিশ্ব ইজতেমা- ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ও ৭-৯ ফেব্রুয়ারি।

রমজান -২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৯ মার্চ শেষ হতে পারে। (শাবান মাসের শেষে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।)

জুমাতুল বিদা- ২৮ মার্চ, (শুক্রবার)।

শবেকদর- ২৭ মার্চ, (বৃহস্পতিবার)।    

ঈদুল ফিতর- ৩০ অথবা ৩১ মার্চ, (সোমবার, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে)।

ঈদুল আজহা- ৭ জুন, (শনিবার চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে)।

হজ- চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৫ জুন থেকে শুরু হতে পারে।

আশুরা- ৬ জুলাই, (রবিবার)।

ঈদে মিলাদুন্নবী- ৫ সেপ্টেম্বর, (শুক্রবার)।

রমজান, ঈদ, হজ, শবে বরাত, শবে কদর, শবে মেরাজ, আশুরার দিনগুলো মূলত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রত্যেক মাস শুরুর তারিখ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়। এখানে ক্যালেন্ডারে উল্লেখিত সরকারি ছুটির সম্ভাব্য তারিখের ভিত্তিতে রমজান, ঈদ ও অন্যান্য বিশেষ ইবাদতের দিনগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আরবি মাসে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়