
ফাইল ছবি
ঈদ-উল-ফিতর সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। রমজানের এক মাস সংযমের পর আনন্দে উদযাপিত হয় এ দিনটি। বাজার সেজে ওঠে রঙিন আলোয়। ঘরে ঘরে চলে বিশেষ খাবারের আয়োজন। আর ঈদের নামাজে শরিক হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পুনর্মিলনের এ দিনটি ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের প্রতীক।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় ঈদের নির্দিষ্ট তারিখ আগেভাগে নিশ্চিত করা যায় না। শাওয়ালের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদ উদযাপিত হয়। তাই প্রতি বছর রমজানের শেষ সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন চাঁদ দেখা কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে।
এ বছর ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় একদিন পর রমজান শুরু করেছে। সে অনুযায়ী, ৩০ মার্চ রমজান ১৪৪৬ হিজরির ২৯তম দিন। এ দেশগুলোতে ঈদের চাঁদ দেখার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হবে।
৩০ মার্চ সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর চাঁদ দেখা গেলে ঈদ হবে ৩১ মার্চ। চাঁদ না দেখা গেলে রমজান ৩০ দিন পূর্ণ হবে। ঈদ উদযাপিত হবে ১ এপ্রিল।
ঈদ-উল-ফিতর মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এটি কেবল আনন্দ উদযাপনের নয়। বরং আত্মশুদ্ধি, দানশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের প্রতীক। ঈদের দিনে সকালে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়। এরপর পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
ঈদের অন্যতম প্রধান রীতি যাকাত-উল-ফিতর। যা দরিদ্রদের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য দেয়া হয়। খাবার টেবিল সাজানো হয় ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার দিয়ে—যেমন সেমাই, বাকলাভা, মামুল, সামোসা ইত্যাদি।
ঈদের ছুটি মানেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর এক দারুণ সুযোগ। অনেকেই বেড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। কেউ যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে, আবার কেউ শহরে বিশেষ আয়োজন উপভোগ করবেন। সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ, জমকালো ব্রাঞ্চ, কিংবা ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজন।
চাঁদ দেখার অপেক্ষা সবসময়ই ঈদকে ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি করে। তাই এ প্রতীক্ষার মধ্যেও ঈদের আনন্দ অনুভব করি—ভালোবাসা, দয়া ও সৌহার্দ্যের বার্তা ছড়িয়ে দিই সবার মাঝে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।