
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক আল-আকসা মসজিদে লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির জমায়েত হয়েছে। পবিত্র রমজানের ২৬তম রাতে প্রায় দুই লাখ মুসল্লি সেখানে তারাবীহ নামাজ আদায় করেন। ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জেরুজালেমজুড়ে ছিল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল, যা এই পবিত্র স্থানে মুসলিম উম্মাহর গভীর ভালোবাসা ও আস্থার প্রতিফলন।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে অনুষ্ঠিত তারাবীহ নামাজে মুসল্লিদের এমন উপস্থিতি একটি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আল-আকসা মসজিদ পরিচালনাকারী ওয়াকফ বিভাগ জানায়, রমজান মাসে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার পরও এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মুসল্লি বিশেষ ইবাদতের জন্য সমবেত হন। লাইলাতুল কদর মুসলমানদের জন্য বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত, কারণ এ রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল এবং কোরআনের ভাষ্যমতে, এটি হাজার রাতের চেয়েও উত্তম।
লাইলাতুল কদরের ফজিলত লাভের আশায় মুসল্লিরা মসজিদে বিশেষ দোয়া ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। রাতব্যাপী তারা কোরআন তেলাওয়াত, নামাজ ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় সময় কাটান। ধর্মীয় অনুভূতিতে ভাসতে থাকা এই পরিবেশে আল-আকসা মসজিদ ছিল আলোয় উদ্ভাসিত ও আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ। মুসল্লিরা সেখানে শান্তি, কল্যাণ ও উম্মাহর ঐক্যের জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন।
পবিত্র আল-আকসা মসজিদ শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, বরং সমগ্র মুসলিম বিশ্বের আবেগ ও আস্থার প্রতীক। এই মসজিদে লাইলাতুল কদরে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণ ইসলামের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠার বহিঃপ্রকাশ। ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় এমন সমাবেশ আরও বড় বার্তা বহন করে, যা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির প্রতিচিত্র হয়ে থাকবে। তথ্যসূত্র : আরব নিউজ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।