ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। নিয়মিত কেটামিনের মতো ভয়াবহ মাদক সেবন করেন। এ কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। ‘মনের নেতিবাচক অবস্থা’ দূর করতে ‘প্রকৃত’ ডাক্তারের পরামর্শে এসব মাদক নিচ্ছেন। মাদকগ্রহণ তার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমাবে না বলে মনে করেন মার্কিন এ ধনকুবের।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএননের সাবেক সাংবাদিক ডন লেমনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক এসব কথা স্বীকার করেছেন। বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলা, মহাকাশ পরিবহন সংস্থা স্পেস এক্স ও সোশ্যাল হ্যান্ডেল এক্সের (টুইটার) কর্ণধার মাস্ক নিজের মাদক নেয়ার বিষয়টির সমর্থনে নানা কথা বলেছেন।
চাপ সামলাতে কেটামিনের মতো মাদক বেশ সহায়ক জানিয়ে আলোচিত এ উদ্যোক্তা বলেন, একজন ‘প্রকৃত ডাক্তার’ আমাকে এ মাদকটি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি প্রতি দুই সপ্তাহে একবার অল্প পরিমাণে তা সেবন করি। খুব বেশি কেটামিন সেবন করলে আপনি সত্যিই কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু আমাকে প্রচুর কাজ করতে হয়। আমি সাধারণত দিনে ১৬ ঘণ্টা কাজ করি। তাই দীর্ঘ সময় মানসিকভাবে অমনোযোগী থাকার আমার কোনো সুযোগ নেই।
ডন লেমনকে দেয়া সাক্ষাৎকারটি সোমবার (১৮ মার্চ) মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে প্রকাশিত হয়েছে। এতে মাস্ক বলেছেন, আমার মাদক গ্রহণ সরকার ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমাদের কোম্পানির সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
বরং নিজের মাদক গ্রহণ টেসলায় বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো জানিয়ে মাস্ক বলেন, টেসলার অর্থমূল্য (যুক্তরাষ্ট্রের) অন্যসব গাড়ি কোম্পানির যৌথ অর্থমূল্যের চেয়ে বেশি। এটা একটা চমৎকার বিষয়। গত বছর বিশ্বে সবচেয়ে ভালো গাড়িগুলো আমরাই বিক্রি করেছি। তাই বিনিয়োগকারীদের দিক থেকে হিসেবে করলেও আমার মাদকগ্রহণ তাদের জন্য লাভজনক।
মাদক গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশ করা প্রসঙ্গে মাস্ক বলেন, কেটামিন বিষণ্নতা বা ব্যথা উপশমে সহায়ক। তাই এটা অন্যকেও সহায়তা করতে পারে বলে আমার ধারণা।
মাস্কের মাদকগ্রহণের বিষয়টি নানা সময়ে আলোচিত হয়েছে। কিন্তু ইতোঃপূর্বে তিনি এ বিষয়ে কখনও মুখ খুলেননি।
২০১৮ সালে জো রোগান শোতে মাস্ককে গাঁজা সেবন করতে দেখা যায়। এটাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে তার ঝামেলা শুরু হয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে দাবি করে, ইলন মাস্ক লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড বা এলএসডি, কোকেন এবং সাইকেডেলিক মাশরুমের মতো মাদক সেবন করেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন সব প্রাইভেট পার্টিতে যান যেখানে মোবাইল ফোন নির্দিষ্ট স্থানে জমা রেখে অংশ নিতে হয়। বা পার্টির কোনো কিছু প্রকাশ করবে না বলে অংশগ্রহণকারীদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, মাস্ক অবৈধভাবে কোনো ধরনের মাদক নিয়ে থাকলে তাতে করে ফেডারেল চুক্তি এবং স্পেসএক্স ও টেসলার কর্পোরেট নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি, আলজাজিরা
আপন দেশ/এসএম ুৃ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।