ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ আর পাঁচটি মহাসাগরের হিসাব পাল্টে যাচ্ছে। নতুন আরেকটি মহাসাগর তৈরি হতে চলেছে। ভূতাত্ত্বিকরা দেখেছেন, মানুষের উৎপত্তি হয়েছে যেই মহাদেশে, তার মাটির নিচে নতুন মহাসাগর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সালে।
নতুন আরও একটি মহাসাগরের জায়গা পৃথিবীর বুকে হবে কোথায়? এ বিষয়টি বুঝতে হলে পৃথিবীর মানচিত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। আসলে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ দেখতে যেরকম মনে হয় অতীতে তেমন ছিল না। ভবিষ্যতে একই রকম থাকার সম্ভাবনা নেই।
চলমান এ প্রক্রিয়ার ফলে নতুন আরেকটি মহাসাগর পেতে চলেছি আমরা। আফ্রিকা মহাদেশ ভেঙ্গে দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। ডান দিকের অংশ মিলে যেতে পারে ভারতের সঙ্গে। বাম দিকের ফাঁকা অংশে জন্ম নিতে পারে ষষ্ঠ মহাসাগর।
হর্ন অফ আফ্রিকার মাটির নিচের টেকটনিক প্লেটের মধ্যে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে। ২০০৫ সালে ইথিওপিয়ার মরুভূমিতে ৩৫ মাইল লম্বা ফাটল দেখা দেয়। তখনই মনে হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশ ধীরগতিতে ভেঙ্গে যাচ্ছে।
আসলে সেখানে টেকটনিক প্লেটে জমা হওয়া প্রচুর শক্তির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। আগামী পাঁচ থেকে দশ মিলিয়ন বছরের মধ্যে আফ্রিকা দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। এর ফলে পূর্ব আফ্রিকায় একটি নতুন মহাদেশের জন্ম হতে পারে।
মহাসাগর তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ষষ্ঠ মহাসাগরের জন্ম হতে চলেছে। টেকটনিক প্লেটের নাড়াচড়া ভেতরের উত্তপ্ত তাপ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। দুই টেকনিক প্লেটের মধ্যে ফাটল তৈরি হলে সেখানে ম্যাগমা এসে জমা হয়। তারপর তা ঠান্ডা হয়ে ভূত্বক গঠন করে। এ ক্রমাগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে লাখ লাখ বছর সময় লেগে যেতে পারে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।