চীনের তিন নভোচারী। ছবি: বিবিসি
তিন নভোচারীকে তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনে পাঠাবে চীন। ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠাতে সর্বশেষ এ মিশনে তাদের মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়ে বেইজিংয়ের ম্যানড স্পেস এজেন্সি (সিএমএসএ)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তারা মহাকাশের উদ্দেশ্যে পৃথিবী ছাড়বেন।
বেইজিং জানিয়েছে, শেনঝু-১৮ মিশনে তিন মহাকাশচারীকে রাত ৮টা ৫৯ মিনিটে (১২৫৯ জিএমটি) চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে উড্ডয়নের কথা রয়েছে। মিশনে নেতৃত্ব দেবেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ও নভোচারী ইয়েং গুয়াংফু। তিনি পূর্বে ২০২১ সালে শেনঝু-১৩ মিশনেও অংশ নিয়েছিলেন।
তিয়ানগং মহাকাশচারীদের সর্বশেষ ব্যাচ ছয় মাস কক্ষপথে অবস্থান করবেন। তারা সেখানে মহাকর্ষ ও পদার্থবিদ্যার পাশাপাশি জীব বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন। সিএমএসএর উপ-মহাপরিচালক লিন জিয়াকিয়াং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সকল প্রাক-লঞ্চ প্রস্তুতি সময়সূচি অনুযায়ী তৈরি রয়েছে।
তিয়াংগং হলো বেইজিংয়ের মহাকাশ কর্মসূচির গৌরবোজ্জ্বল মুকুট। বেইজিংয়ের মহাকাশ কর্মসূচি ইতোমধ্যে মঙ্গল ও চাঁদে রোবোটিক রোভার অবতরণ করেছে। কক্ষপথে মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠানোর ক্ষেত্রে চীনকে বিশ্বের তৃতীয় দেশে উন্নীত করেছে।
নতুন ক্রু শেনঝো-১৭ দলের প্রতিস্থাপন করবে। তাদেরকে অক্টোবরে স্টেশনে পাঠানো হয়েছিল। চীনের ‘মহাকাশ স্বপ্ন’-র পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির চীন এখন মহাকাশ কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে টক্কর দিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
