ছবি: সংগৃহীত
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার হামলা কমলেও তথ্য পুনরুদ্ধারে ব্যয় বেড়েছে। সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান সফোসের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। ‘স্টেট অফ র্যানসমওয়্যার ২০২৪’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরে মুক্তিপণ দেয়ার হার আগের তুলনায় গড়ে ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩ সালে র্যানসমওয়্যার সাইবার হামলায় গড়ে ৪ লাখ থেকে ২০ লাখ ডলার পর্যন্ত মুক্তিপণ দেয়ার কথা জানিয়েছে ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এটি শুধু মুক্তিপণের খরচের একটি অংশ মাত্র। মুক্তিপণ বাদে তথ্য পুনরুদ্ধারের গড় ব্যয় ছিল ২০ লাখ ৭৩ হাজার ডলার। সফোসের আগের বছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী যা ছিল ১০ লাখ ৮২ হাজার ডলার। অর্থাৎ প্রতিবেদন অনুযায়ী এবারের তথ্য পুনরুদ্ধারের গড় ব্যয় আগের চেয়ে প্রায় ১০ লাখ ডলার বেশি।
নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তিপণের পরিমাণ বাড়লেও র্যানসমওয়্যার সাইবার হামলার ঘটনার হার এবার কিছুটা কমেছে। এ বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলোতে র্যানসমওয়্যার হামলা হয় ৫৯ শতাংশ; যা ২০২৩ সালের সমীক্ষায় ছিল ৬৬ শতাংশ। ছোট আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও (যাদের আয় ১০ মিলিয়ন ডলারেরও কম) র্যানসমওয়্যার হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়। গত বছরে এমন প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধেক (৪৭ শতাংশ) র্যানসমওয়্যারের শিকার হয়।
আরও পড়ুন>> স্পেসএক্স গোপনে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট বানাচ্ছে
২০২৪ সালের প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, মুক্তিপণের ৬৩ শতাংশের দাবি ছিল এক মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি এবং ৩০ শতাংশের দাবি ছিল ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি। এছাড়া, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় ৫০ মিলিয়ন ডলারের কম, তাদের ৪৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কাছে হামলাকারীরা লাখ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি করে। অর্থাৎ, তুলনামূলকভাবে কম র্যানসমওয়্যার হামলা চালিয়েও এবার হামলাকারীদের অর্থ আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে যে, ৩২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই র্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হয়েছে তাদের দুর্বল সাইবার সিস্টেমের কারণে। এছাড়া ২৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এ ধরনের হামলার শিকার হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ডকুমেন্টের অননুমোদিত ব্যবহার বা কম্প্রোমাইজড ক্রেডেনশিয়ালের কারণে। ২৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান হামলার শিকার হয়েছে ক্ষতিকর ই-মেইলের মাধ্যমে।
স্টেট অফ র্যানসমওয়্যার ২০২৪ প্রতিবেদনটির তথ্য ৫ হাজার সাইবার সিকিউরিটি বা আইটি বিশেষজ্ঞ থেকে নেয়া হয়েছে। এটি একটি ভেন্ডর ভিত্তিক সমীক্ষা, যার সময়কাল ছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস। প্রতিবেদনটি তৈরিতে অংশ নিয়েছে আমেরিকা, ইএমইএ এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মোট ১৪টি দেশ।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।