ছবি: সংগৃহীত
গত তিন বছরে তরুণদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে ফেসবুক। যা এ সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিহাসে রেকর্ড। এমটাই জানিয়েছে মেটা। আসলে ফেসবুক পুরোনো প্রজন্মের ঘাঁটি হিসেবে নিজের খ্যাতি ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ফেসবুক থেকে জানানো হয়, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সি ৪০ মিলিয়নেরও বেশি মার্কিন এবং কানাডিয়ান এখন প্রতিদিন ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করেন। ফেসবুকের ইতিহাসে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ এটাই প্রথম। প্ল্যাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ গত মাসেই ৪০-এ পা দিয়েছেন। আর এ বছরই ফেসবুক তার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে।
হুট করে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক এসে তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মন ফেসবুক থেকে ঘুরিয়ে নিতে শুরু করেছিল। ফেসবুকও থেমে থাকেনি। গত কয়েক বছর ধরে তরুণদের আকর্ষণ টানতে একের পর এক ফিচার যুক্ত করেছে। কাজও হয়েছে। তারই প্রতিফলন দেখা গেল উপরোক্ত তথ্যে।
কোম্পানির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মেটার চার্টে দেখা গেছে ‘স্বাস্থ্যকর অ্যাপ ব্যবহার বৃদ্ধির পাঁচ-চতুর্থাংশই’ তরুণ প্রাপ্তবয়স্করা। নিউইয়র্কে একটি ইভেন্টে তরুণরা কীভাবে অ্যাপটি ব্যবহার করে তা তুলে ধরেন ফেসবুকের মেটার প্রধান টম অ্যালিসন। তার ভাষ্য, ফেসবুকের নির্বাহীরা বুঝতে পেরেছিলেন, ফেসবুককে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য বিবর্তিত হওয়া দরকার।
অ্যালিসন বলেন, তরুণদের আমি এটাও বলতে শুনেছি যে, ‘ফেসবুক কার জন্য? আমার বাবা-মায়ের জন্য?’
আরও পড়ুন>> ‘মাস্ক-জুকারবার্গ সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার’
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক। আবার নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হচ্ছে তরুণ-তরুণীদের। রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যালিসন বলেছেন, তরুণ ব্যবহারকারীরা তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তেও ফেসবুকে প্রবেশ করেন। মার্কেটপ্লেস ঘুরে দেখা, গ্রুপ চেক করা কিংবা ডেটিংয়ের জন্য তো আছেই এমনকি নিজের অ্যাপার্টমেন্টের আসবাবপত্র কেনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজেও ফেসবুকের শরণাপন্ন হচ্ছেন বহু তরুণ-তরুণী।
টিকটকের মতো ফেসবুক রিলসের কথা উল্লেখ করে অ্যালিসন এও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তরুণ-তরুণীরা একবার ফেসবুকে ঢুকলে ফিড স্ক্রল করতেই থাকে কিংবা একটার পর একটা রিল দেখতে থাকে।
২০০৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেসবুক। চালু হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ক্যাম্পাসজুড়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে প্ল্যাটফর্মটি। দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটি প্রজন্মের জন্য ডিফল্ট গণযোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে। অ্যাপটি তার প্রথম তিন বছরেই ৫০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী সংগ্রহ করে ফেলে। এখন বিশ্বব্যাপী ৩.২ বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে ফেসবুকের।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।