ফাইল ছবি
অনেকে কাজ করার সময় গান শুনতে পছন্দ করেন। রান্না করছেন কিংবা ঘরের কাজ কানে হেডফোন দিয়ে রেখেছেন। দীর্ঘসময় কানে হেডফোন রেখে কানে ব্যথা সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই বাড়িতে ব্লুটুথ স্পিকার ব্যবহার করতে পারেন।
বাজারে অনেক ধরনের স্পিকার রয়েছে। ব্লুটুথ স্পিকার কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নাহলে ঠকে যেতে পারেন। বিষয়গুলো জেনে নিন-
ব্র্যান্ড এবং রিভিউ
প্রথমে ব্র্যান্ড এবং মডেল পছন্দ করতে হয়। তারপর দেখতে হয় গ্রাহকদের রিভিউ। অন্যান্য ক্রেতারা সে ব্লুটুথ স্পিকার সম্পর্কে কী বলছেন। সেটা জানা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতামতও দেখতে হবে। ভালো ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। এমন প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টে সঠিক ওয়ারেন্টি এবং বিক্রি পরবর্তী পরিষেবা পাওয়া যায়।
বাজেট
শুরুতেই আপনার বাজেটটি ঠিক করে নিন। বাজারে নানান ব্র্যান্ডের ব্লুটুথ স্পিকার পাবেন। রিভিউ দেখেও দাম সম্পর্কে ধারণা নিয়ে রাখুন আগেই। এতে আপনি ভালো কোয়ালিটির ব্লুটুথ স্পিকার কিনতে পারবেন আপনার বাজেটের মধ্যেই।
সাউন্ড কোয়ালিটি
একেক জনের পছন্দ একেক রকম। তারপরেও নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স’ রাখা উচিত। একটি ব্লুটুথ স্পিকার যে পরিমাণ শব্দ উৎপন্ন করতে পারে। সেটাই ফ্রিকোয়েন্সি রেসপন্স। এর মাত্রা ২০ হার্জ থেকে ২০ কেহার্জ হওয়া উচিত। সঙ্গে দেখে নিতে হবে স্পিকার যেন ভালো বেস (নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সি), পরিষ্কার মিডরেঞ্জ এবং ক্রিস্প ট্রিবল (উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি) সহ ভারসাম্যপূর্ণ সাউন্ড তৈরি করতে পারে।
পাওয়ার আউটপুট
বড় ঘরের জন্য ৫০ ওয়াট বা তার বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন স্পিকার কেনা উচিত। মাথায় রাখতে হবে, ওয়াটেজ বেশি মানে সাউন্ডও বেশি হবে। এর সঙ্গে সেনসিটিভিটি রেটিংও দেখতে হয়। এটা ডেসিবেলে পরিমাপ করা হয়। বোঝায় যে স্পিকার কতটা দক্ষতার সঙ্গে শক্তিকে সাউন্ডে রূপান্তর করতে পারে। ৯০ডিবি বা তার বেশি সেনসিটিভিটি রেটিংয়ের স্পিকার কেনাই ভালো।
আপন দেশ/কেএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।