ছবি: সংগৃহীত
মহাকাশে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করলে মানবদেহে নানা রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। যা শরীরের পেশী, হাড়, মস্তিষ্ক এবং এমনকি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ওপর প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি নাসার মহাকাশচারী ফ্রাঙ্ক রুবিও ৩৭১ দিন মহাকাশে কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম একক মহাকাশ যাত্রার রেকর্ড গড়েছেন। তার এ দীর্ঘ সময়ের মহাকাশযাত্রা শরীরের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মহাকাশে মাইক্রোগ্র্যাভিটির কারণে শরীরের পেশী এবং হাড়ের ভর দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে। মহাকর্ষের অভাবে শরীরের পিছনের অংশ, গলা, পায়ের মাংসপেশী এবং কাঁধের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যায়। ফলে মহাকাশচারীদের দৈনিক ২.৫ ঘণ্টা করে ব্যায়াম করতে হয়। যার মধ্যে থাকে স্কোয়াট, ডেডলিফট এবং বেঞ্চ প্রেসের মতো ব্যায়াম। তবুও দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার ফলে পেশীর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
পেশী এবং হাড় ছাড়াও মহাকাশে থাকার কারণে মস্তিষ্কে এবং চোখে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। মহাকাশের ওজনহীন পরিবেশে শরীরের রক্ত মস্তিষ্কের দিকে উঠে যায়। যার ফলে চোখের পেছনে তরল জমতে পারে এবং দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এছাড়া মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং অন্ত্রের ফাংগাসের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। খাদ্যাভ্যাস এবং পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে শরীরের অভ্যন্তরীণ জীবাণুর বৈচিত্র্যও পরিবর্তিত হতে পারে।
ফ্রাঙ্ক রুবিওর মহাকাশে থাকার এ দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা আগামী দিনে আরও দীর্ঘ সময়ের মহাকাশ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবে। বিশেষ করে যখন মানুষ মঙ্গলগ্রহের মতো দূরবর্তী স্থানগুলোতে যাত্রা করবে, যা কয়েক বছর সময়ের মহাকাশ যাত্রা হতে পারে।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।