Apan Desh | আপন দেশ

চিকিৎসকের হাতে যাচ্ছে বিজ্ঞানে একুশে পদক 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৯:৪৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চিকিৎসকের হাতে যাচ্ছে বিজ্ঞানে একুশে পদক 

ছবি সংগৃহীত

সুতুনীএমজি-তে লিখে নির্মলায় কনভার্ড কর তারপর প্রয়োজনীয় বার্তাটি পাঠাতে হয়। মনে হতোভিীষণ ঝামেলা। এটি দুর হয়েছে। সহজেই বাংলা ভাষায় লেখতে পারার জনপ্রিয় সফটওয়্যার ‘অভ্র কিবোর্ড’। আর এটির আবিষ্কারক মেহেদী হাসান খান। শিক্ষা অর্জন করেছেন চিকিৎসা বিদ্যায়। কিন্তু মেধা-শ্রমে ভর করে যুক্ত হয়েছেন আবিষ্কারকের তালিকায়।  

তার এ উদ্ভাবনের ফলে ছোট-বড় সবাই খুব সহজে ভার্চুয়ালি বাংলা ভাষায় লেখালেখি করতে পারছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় তার এ অবিস্মরণীয় অবদান নিয়ে আলোচনা হলেও স্বীকৃতি মেলেনি। কারণ পথে পর্বত আকারে ছিল স্বৈরশাসকের আনুকুল্য পাওয়া মোস্তফা জব্বার। তিনি বিজয় বায়ন্নোর আবিষ্কারক। তাকে টপকে যাবে তা কি হয়? 

এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। অবশেষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিভাগে একুশে পদক পেতে যাচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একুশে পদক প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

মেহেদী হাসান খান ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের প্রতি ঝোঁক ছিল। ২০০৩ সালের বইমেলায় বায়োস নামক একটি সংগঠনের প্রদর্শনী দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মেহেদী হাসান। তখনই তার মনে উদ্ভব হয় একটি সহজতর বাংলা লেখার সফটওয়্যার তৈরির চিন্তা।

প্রথমদিকে, ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য উপযুক্ত সফটওয়্যার না থাকায় তিনি নিজেই একটি সমাধান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে মাইক্রোসফট ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করেন। কিন্তু সেটি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। অবশেষে, ক্লাসিক ভিজ্যুয়াল বেসিকের ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি সংস্করণ তৈরি করেন, যা বাংলা লেখার জন্য আদর্শ হয়ে ওঠে।

২০০৩ সালের ২৬ মার্চ প্রথমবারের মতো অভ্র কী-বোর্ড উন্মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওমিক্রনল্যাব থেকে এটি মুক্তি দেয়া হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজেও অভ্র ব্যবহার করেছে।

অভ্র সফটওয়্যারের কারণে কম্পিউটারে বাংলা লেখা সহজ হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সবাই এটি ব্যবহার করতে শুরু করে। অভ্র’র অন্যতম জনপ্রিয়তা এর ওপেন সোর্স প্রকৃতি এবং কাস্টম লেআউট সুবিধার জন্য।

অভ্র টিমের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রিফাত উন নবী, সিয়াম রুপালী ফন্টের জনক সিয়াম, সারিম, ভারতের নিপন এবং মেহেদীর সহধর্মিণী সুমাইয়া নাজমুন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অভ্র আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে।

উল্লেখ্য, অভ্র কী-বোর্ডের জন্য ২০১১ সালে মেহেদী হাসান খান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বেসিস পুরস্কার পান।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়