Apan Desh | আপন দেশ

বিএনপির সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ২৮ জুলাই ২০২৩

বিএনপির সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না

ছবি: আপন দেশ

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশস্থলে মুঠোফোনে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। কারও কারও মুঠোফোনে ইন্টারনেটের সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে, তবে তাতে কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরা বলছেন, তাঁরাও মুঠোফোনে ইন্টারনেট পাচ্ছেন না।

নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশস্থলে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে মুঠোফোনে ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। বেলা দুইটার পর সমাবেশ শুরু হয়।

কিশোরগঞ্জ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসেন আক্তারুল আমিন নামের এক ছাত্রদল কর্মী। তিনি বলেন, মহাসমাবেশস্থলে আসার পর থেকেই মুঠোফোনে ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছেন না তিনি।

নয়াপল্টনে সমাবেশের মূল মঞ্চ যেখানে করা হয়েছে, এর উল্টো দিকের সড়কে (দক্ষিণ অংশ) গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ সংগ্রহের কাজের জন্য দুটো যানবাহন (পিকআপ) রাখা হয়েছে। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মীরা বলেন, বিএনপির সমাবেশের যেসব ভিডিও চিত্র তাঁরা ধারণ করছেন, ইন্টারনেট না থাকায় সরাসরি কার্যালয়ে পাঠাতে পারছেন না। বিকল্প হিসেবে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে পাঠানো হচ্ছে।

দেশে এখন মুঠোফোনে দ্রুতগতির ফোর–জি ইন্টারনেট সেবা দেয়া হয়। তবে তা টু-জিতে নামিয়ে আনলে শুধু কথা বলা যায়, দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। আবার কোনো একটি জায়গায় বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সক্ষমতার ওপর চাপ ফেলে। এতে মুঠোফোনে কথা বলাও অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।

এর আগে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্নের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডিজিটাল অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা অ্যাকসেস নাউয়ের এক প্রতিবেদনে গত মার্চে বলা হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ ছয়বার ইন্টারনেট শাটডাউন বা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম।

অ্যাকসেস নাউয়ের হিসাবে বলা হয়, বাংলাদেশের চেয়ে বেশিবার ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা ঘটেছে ভারত (৮৪ বার), ইউক্রেন (২২ বার), ইরান (১৮ বার) ও মিয়ানমারে (৭ বার)।

২৩ জুলাই রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘ইন্টারনেট শাটডাউনসহ’ সব ধরনের ‘ডিজিটাল নির্যাতনের’ প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিজিটালাইজেশনকে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যেসব দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল, সেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। বাংলাদেশে কি যুদ্ধ চলছে?

জনগণের টাকায় প্রতিষ্ঠিত বিটিআরসিকে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়নের কাজে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়