ছবি: আপন দেশ
জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। অতীত ও বর্তমানের শতাধিক মামলার ফাইল খোকনের কাছে। পরিবার ও দলের বিশ্বসতার জন্য তাকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদ দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। একাধিকবার আইনজীবী ফোরামের তরফ থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন। দলের সমর্থন পেয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক, সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। খোকন এখন ওই সমিতির সভাপতি।
বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে রদবদল আনা হয়েছে। যুগ্ম মহাসচিব খোকনকে নেয়া হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলে। খোকনসহ আরও ১০ জনকে উপদেষ্টা কাউন্সিলে নেয়া হয়েছে। এ কমিটিতে এখন সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৫-এ। নাতিদীর্ঘ এ তালিকায় খোকনের নম্বর ৭৫। খোকনকে ওই পদে পাঠানো নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। কেউ বলছেন নিজ কর্মের ফসল পেলেন খোকন। আবার কেউ বলছেন ব্যারিষ্টার ব্যারিষ্টারের দ্বন্দ্বের ফসল।
খোকন ভক্তরা অভিযোগ করছেন, আদালত অঙ্গনে ব্যারিস্টার খোকনের প্যারালাল হয়ে উঠেছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দলের ভেতরের প্রতিদ্বন্দ্বি এ দুই ব্যারিস্টার। আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হবার পর খোকন-কায়সারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ভেতরের বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। পরস্পরকে রাজনৈতিক ভাষায় গালিগালাজও করেন। কমিটি গঠনে কায়সার কামালের কোপে পড়েছেন ব্যারিস্টার খোকন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামালও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব। দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। কমিটি ভাঙাগড়ায় কায়সার কামাল এখন স্পেশাল এ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপার্সনস ফরেন এ্যাফেয়ার্স এ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য। এই কমিটি নতুন করে গঠন করা হলো।
এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার খোকন আপন দেশ ডটকমকে বলেন, ১৫ বছর তো ছিলাম। পদ বদল করে দিয়েছে। তাতে আমার ক্ষোভ নেই। উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যও কম বড় না। কাজ যে করে যেকোনো পদে থেকেই করা যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বারের নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। নির্বাচিত হয়েছি শপথ নিয়েছি। মনোনয়ন কি পদত্যাগের জন্য দিয়েছিল?
খোকন অনুসারিদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে কায়সার কামালকে ফোনে চেষ্টা করেও মন্তব্য নেয়া যায়নি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।