নূরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমান
অন্তর্বর্তী সরকার পার করল দুই মাস। এরই মধ্যে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত করা হচ্ছে। উন্মোচিত হচ্ছে দুর্নীতির চিত্র। লোপাটকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা আসছে তাদের দেশত্যাগে। তবে এখনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুরোপুরি হাসিনার দোসরমুক্ত হয়নি। একচুল নড়েনি আবদুল হামিদের নেকনজরের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা। এরা বিশেষ মিশন নিয়ে ডেপুটি গভর্নর নিযুক্ত হয়েছিলেন গত সরকারের 'বিশেষ বিবেচনায়'। এদের একজন ১৯ বছরে বিএসসি পাশ করা নূরুন নাহার, অন্যজন ড. হাবিবুর রহমান। অভিযোগ উঠেছে, ড. ইউনূস সরকারের ভেতরের সিদ্ধান্ত আগেভাগেই জেনে যাচ্ছে লুটেরাগোষ্ঠী।
বিতর্কিত এ কর্মকর্তাদের অপসারণ না করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে- এমন আভাস মিলেছে।
আলোচ্য দুই ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার ( ৯ অক্টোবর) বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকার্স প্ল্যাটফর্ম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনেই এ কর্মসূচি করে তারা। পরে গভর্নরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
বিভিন্ন প্রকাশিত সংবাদের বরাতে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের আনুকূল্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ী গ্রুপ প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা লোপাট করে। এ কারণে সরকার পতনের দিন থেকেই পলাতক আছেন সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের মুখে দুই ডেপুটি গভর্নরের পাশাপাশি নীতি উপদেষ্টা এবং আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের 'অপমানজনক' বিদায় হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পদত্যাগের মৌখিক শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ চালিয়ে নিচ্ছিলেন ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমান। পদত্যাগ তো দূরের কথা নতুন গভর্নর আসার পর আরও শক্তিশালী হয়েছেন তারা।
আওয়ামী সরকারের আমলে যারা ব্যাংক খাতে লুটপাট করেছে তাদেরকে স্বস্তি দিচ্ছে নূরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানের চেয়ার। অন্যদিকে অস্বস্তিতে পড়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেশাদার কর্মকর্তারা, যারা গত পনেরো বছর নানা প্রতিবন্ধকতায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পরেন নি। কারণ, মানব সম্পদ বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ বিভাগ রয়েছে নূরুন নাহারের অধীনে। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সুপারিশে বিশেষ সুবিধায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন নূরুন নাহার।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে নূরুন নাহার ছিলেন ডেপুটি গভর্নর-২। আর ড. হাবিবুর রহমান ছিলেন ডেপুটি গভর্নর-৪। আন্দোলনের মুখে দুই ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করলে নূরুন নাহার ডেপুটি গভর্নর-১-এর দায়িত্ব নেয়। ডেপুটি গভর্নর-২-এর চেয়ার আসে হাবিবুর রহমানের কাছে। দিন যতো যাচ্ছে এ দুই কর্মকর্তার প্রভাব বাড়ছেই। যার কারণে অদৃশ্য শক্তিবলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যপদ বাগিয়ে নিয়েছেন ড. হাবিবুর রহমান।
যেভাবে ডেপুটি গভর্নরের চেয়ারে নূরুন নাহার ও হাবিবুর
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসে ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ নিয়ে যত বিতর্ক আছে, তার কোনোটিই নূরুন নাহারের নিয়োগ বিতর্ক ছাপিয়ে যেতে পারেনি। এমন দাবি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রবীণ কর্মকর্তাদের। পুরো চাকরি জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেননি নূরুন নাহার। তবু যেন আলাদিনের চেরাগ ব্যবহার করে পেয়েছেন ডেপুটি গভর্নরের পদ।
১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহণকারী এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকার ‘মাত্র’ ১৯ বছর বয়সে, অর্থাৎ ১৯৮৪ সালে বিএসসি সম্পন্ন করেন। এর পাঁচ বছর পরে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। বিএসসি’র পর পেশগত জীবনে আর মাত্র একটি একাডেমিক ডিগ্রি রয়েছে তার। সেটিও অখ্যাত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেয়া এমবিএ ডিগ্রি।
শিক্ষা ও কর্মদক্ষতায় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকায় পুরো চাকরি জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিভাগের দায়িত্ব আসেনি নূরুন নাহারের কাছে। তার চাকরি জীবনের ১২ বছরই কেটেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে। তবে বহুল-কথিত আছে, ২০২৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ‘নেক নজরে’ ভাগ্য খুলেছে নূরুন নাহারের। এ সময়ে তিনি বিশেষ আনুকূল্য লাভ করেন পলাতক সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের।
২০২৩ সালে ডেপুটি গভর্নর পদে নূরুন নাহারের নিয়োগের ক্ষেত্রে অভাবনীয় ঘটনার জন্ম দেয় অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। যে পদে তাকে নিয়োগ দওয়া হবে সেটি খালি হওয়ার প্রায় ৩ মাস পূর্বে, ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল নূরুন নাহারকে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। অথচ ওই পদটি খালি হয় ২০২৩ সালের ১ জুলাই। এখানেই শেষ নয়। পদে বসার ১২ দিন আগেই ২০ জুন ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নূরুন নাহারের দায়িত্ব বণ্টন হয়। ওই সময় তাকে সর্বাধিক ১৪টি বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়, যেখানে অন্য তিন জ্যেষ্ঠ ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্বাধীন বিভাগের সংখ্যা ছিল ১১ থেকে ১২টি।
পদে বসার আগেই ক্ষমতা চর্চার ‘অভূতপূর্ব নিদর্শন’ দেখান তিনি। মানব সম্পদ বিভাগে প্রভাব বিস্তার করে একপ্রকার নিজেই নিজেকে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাহী পরিচালক গ্রেড-১ হন। ২২ জুন নূরুন নাহারকে নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) পদোন্নতি দিয়ে নির্দেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্ষমতার দাপটের একের পর এক বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ২০২৩ সালের ২ জুলাই দুপুরে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এ দ্বিতীয় নারী ডেপুটি গভর্নর।
এদিকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ডেপুটি গভর্নর পদে নিয়োগ পান তৎকালীন গ্রেড-১ নির্বাহী পরিচালক ড.হাবিবুর রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর দাবি, হাবিবুর রহমানের নিয়োগের ক্ষেত্রে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম তৎকালীন গভর্নর রউফ তালুকদারের কাছে সুপারিশ করেছিলেন। পাশাপাশি তার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ করেছিলেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান।
এদিকে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা রয়েছে ড. হাবিবুর রহমানের। বৈবাহিক সূত্রে চট্টগ্রামের একটি আওয়ামী লীগ পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। এ বিষয়গুলো তার ডেপুটি গভর্নর পদ নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছে।
অনিয়মের খণ্ডচিত্র:
২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) দায়িত্ব পান নূরুন নাহার। ডেপুটি গভর্নর পদে আসার পরও এখন পর্যন্ত এ বিভাগ তার অধীনে রয়েছে। ব্যাংক খাতের সকল বিধি-বিধান এ বিভাগ থেকে প্রণয়ন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠীগুলোকে ব্যাংক দখল থেকে শুরু করে ঋণের নামে অর্থ লুটপাটের ও ঋণ পুনঃতফসিলের নামে অর্থ ফেরত না দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিআরপিডি। এ বিভাগের শীর্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে এসবের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই নূরুন নাহারের সামনে, এমন বক্তব্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তার।
সাম্প্রতি ডলার-টাকা বিনিময় হারের পুনঃনির্ধারণের সুযোগ নিয়ে কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ক্ষতিতে ইসলামী ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লেনদেনের সম্পাদনের সময় ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ (এফআরটিএমডি) ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহারের দায়িত্বাধীন ছিল।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা ক্যাডারের কর্মকর্তা হওয়ায় বড় কোনও অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল না হাবিবুর রহমানের। তবে শেখ হাসিনা সরকার দেশের আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র ঢেকে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেসব অসত্য তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করতো তা ড. হাবিবের হাতেই ‘উৎপাদিত’ হতো।
এছাড়া শেখ হাসিনার সরকার পতনের চার দিন আগে বিশেষ সুবিধায় ন্যাশনাল ব্যাংকে বসুন্ধরা গ্রুপের ২৩শ’ কোটি টাকা ঋণ মওকুফের ঘটনায় হাবিবুর রহমানের ও নূরুন নাহারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
অনিয়ম-দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা:
বিভিন্ন প্রমাণযোগ্য ঘটনার বরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নতুন গভর্নর দায়িত্বে আসলেও এ দুই ডেপুটি গভর্নর মিলে অতীতে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। যে কারণে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আর্থিক খাতে সংঘটিত নজিরবিহীন লুটপাটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে সংঘটিত বিভিন্ন নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি কোনো তদন্ত কমিটি গঠনেরও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা লুটেরাদের সহযোগিতা করেছেন তারা জবাবদিহীতার বাইরে রয়েছেন এ দুই ডেপুটি গভর্নরের ছত্রছায়ায়। এমনকি অনেকে পদোন্নতি পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্বও পেয়েছেন।
ফুসছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা:
আলোচিত নুরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানকে নিয়ে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ডেপুটি গভর্নরদের পক্ষে-বিপক্ষে দুটি দল দাঁড়িয়ে গেছে। এক দলের দাবি, এ দুই শীর্ষ কর্মকর্তা আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, কোন প্রকার যোগ্যতা যাচাই ছাড়াই সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নির্দেশে নিয়োগ পান নূরুন নাহার। সাধারণত তিন-চার জনের নাম প্রস্তাব করে সার্চ কমিটি। সেখান থেকে একজনকে নিয়োগের সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নজিরবিহীনভাবে নূরুন নাহারের বেলায় একক নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বর্তমানে ডেপুটি গভর্নর-১ হওয়ার সুবাদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোপনীয় সিদ্ধান্ত লুটেরারা জানতে পারছেন এবং আগাম পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমাদের কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসেন, তিনি নাকি তাদেরকে বলেছেন ‘বেশি কাজ করার দরকার নেই, আগে দেখো পরিস্থিতি কোন দিকে যায়’।
ওই ডেপুটি গভর্নর আরও বলেছেন, কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। তারা কয়েকবার বিক্ষোভ করেছে। গভর্নর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। যেকোন মুহুর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে। আগের দুই ডেপুটি গভর্নরের বেলায় যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছিল এবার যাতে এমন কিছু না হয় সে চেষ্টাই আমাদের সকলের মিলে করতে হবে।
যা বলল বাংলাদেশ ব্যাংক:
বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করলেও ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেন, ডেপুটি গভর্নরদের অপসারণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এখনও কিছু ভাবছেন না।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।