Apan Desh | আপন দেশ

বেনামি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে মোরশেদ আলমের শত শত কোটি টাকা পাচার

আফজাল বারী

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ২২:২২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বেনামি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে মোরশেদ আলমের শত শত কোটি টাকা পাচার

মো. মোরশেদ আলম

‘শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগ’ দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব বাবদ শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে নোয়াখালীর সাবেক আওয়ামী এমপি ও বেঙ্গল গ্রুপের মালিক মো. মোরশেদ আলমের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রায় দুই যুগ ধরে উৎপাদন, আমদানি-রফতানিসহ যাবতীয় কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্তিত্বহীন কথিত ‘বিদেশি’ নাগরিকদের। তাদের দেখানো হচ্ছে- প্রতিষ্ঠানটির ‘চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ এবং ‘পরিচালক’ হিসেবে।

বোর্ড মিটিংয়ের রেজুলেশন, অফিসিয়াল রেকর্ডপত্র, কাঁচামাল আমদানি ও ফিনিশড গুড রফতানি, স্থানীয়বাজারে বিক্রি, এমনকি ব্যাংকের লেনদেনও চলছে অস্তিত্বহীন ব্যক্তিদের স্বাক্ষরেই! কে বা কারা এ স্বাক্ষর করছে, সেটি স্বচক্ষে দেখেননি প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারি। এমনকি যেসব ব্যাংকে লেনদেন হচ্ছে, তারাও কথিত বিদেশি নাগরিকদের সই-স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। এমন ভুতুড়ে প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘হ্যাঙ্গার্স প্লাস (বাংলাদেশ) লিমিটেড’।

আপন দেশ-এর গভীর অনুসন্ধানে মিলেছে এসব তথ্য। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, সাভারের পুরাতন ইপিজেডে ‘হ্যাঙ্গার্স প্লাস (বাংলাদেশ) লিমিটেড’ নামক প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির পূর্ব নাম ছিলো ‘এশিয়া প্লাস্টিক বাংলাদেশ লিমিটেড’। ২০০৮ সালে নাম বদলে করা হয় ‘হ্যাঙ্গার্স প্লাস (বাংলাদেশ) লিমিটেড’। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং কাস্টমসের অনুমোদন নেয়া প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলে ‘এ’ টাইপ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ কোম্পানির সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। ‘সি’ ক্যাটাগরির স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হলেও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এটির নিবন্ধন নেয়া হয় ‘এ’ ক্যাটাগরির ব্রিটিশ কোম্পানি হিসেবে। বিপরীতে বাগিয়ে নিচ্ছে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সুবিধা, রফতানি মূল্যের রিবেট সুবিধাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা। প্রতিষ্ঠানটির নামে ব্যবহৃত বিএমডব্লিউ গাড়িও আমদানি করা হচ্ছে শুল্কমুক্ত কোটায়। এছাড়া শুল্কমুক্তর সুবিধায় কাঁচামাল এনে বিক্রি করছে চোরাই মার্কেটে। প্লাস্টিক পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত রেজিন (প্লাস্টিক দানা) শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে বিক্রি করছে অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার হোল্ডার দেখানো হয়েছে তিন বাংলাদেশী নাগরিককে। তারা হলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের মরহুম সিরাজ মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ আবদুল হক, একই ইউনিয়নের মরহুম হাজী ফজলুর রহমানের পুত্র মো. শহিদুল্লাহ এবং বদরপুর ইউনিয়নের মজিবুর রহমানের স্ত্রী নুসরাত জাহান। 

প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ার ১০ হাজার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শেয়ার (৪ হাজার) রয়েছে নুসরাত জাহানের। মোহাম্মদ আব্দুল হক এবং মো. শহিদুল্লাহর শেয়ার ৩ হাজার করে। প্রতিষ্ঠানটির অথরাইজড শেয়ার ২৫ কোটি টাকার। প্রতিটি সাধারণ শেয়ারের মূল্য ১শ টাকা। শেয়ার গ্রহীতাদের মধ্যে কোনো বিদেশি নাগরিকের অস্তিত্ব নেই। তবে ডিরেক্টর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ‘মিসেস ইয়াম মুই হন’ এবং ‘মিসেস ইউ মু ইয়ং’ নাম। তারা যথাক্রমে: প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কাম ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিচালক। প্রচার করা হয় তারা, বৃটিশ পাসপোর্টধারী হংকংয়ের নাগরিক। প্রায় প্রতিটি বোর্ড মিটিংয়ের রেজুলেশনেই তাদের স্বাক্ষরও দেখা যায়। অথচ কোনো বোর্ড মিটিংয়েই তাদের সশরীর উপস্থিতি কেউ কখনো দেখেননি। তাদের স্বাক্ষরে  দ্য সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকে চলছে লেনদেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টরদের পক্ষে চিঠিপত্র পাঠানো হয় মিসেস ইয়াম মুই হনের স্বাক্ষরে। অথচ প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা স্বচক্ষে কোনোদিন তাকে দেখেনি। 
জানা গেছে, কথিত দুই বিদেশির পক্ষে স্বাক্ষর করছেন প্রতিষ্ঠানটিরই বেতনভুক্ত একজন কর্মকর্তা। তিনি ডান হাতে, বাম হাতে একাই ২টি স্বাক্ষর করছেন। 

বিদেশি বিনিয়োগ দেখিয়ে রাজস্ব আত্মসাৎ: 

‘হ্যাঙ্গার্স প্লাস (বাংলাদেশ) লি.’ আগে ‘মেসার্স এশিয়া প্লাস্টিক  (বিডি) লি.’ নামে পরিচিত ছিলো। এ নামে প্রতিষ্ঠানটির বন্ড লাইসেন্স (নং-৯০/২০০৩) নেয়া হয়। এটির ভ্যাট রেজি নং-৫০৩১০১৮৪৪৮-৫০১০৩। ‘হ্যাঙ্গার্স প্লাস (বাংলাদেশ) লি. কে শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠান দাবি করে প্রতিবছর কর অব্যাহতি সুবিধার সনদপত্র নিচ্ছে। 

রেকর্ডপত্র বলছে, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৬১ লাখ ৯৩ হাজার মার্কিন ডলার মাস্টার এলসি’র বিপরীতে কর অব্যাহতি সুবিধা নিয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিজ নামে শুল্কমুক্ত বন্ডেড কাঁচামাল খোলা বাজারে বিক্রি ও গৃহস্থালি আসবাব তৈরির কাজে অন্য প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করার অভিযোগও রয়েছে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যাচ্ছে, ‘হ্যাঙ্গার্স প্লাস (বিডি) লি.’ কাগজে কলমে 'এ' ক্যাটাগরির  কোম্পানি হলেও এটি মূলত ১০০% বাংলাদেশী বিনিয়োগ। আয়কর এবং রাজস্ব (সরকারি অর্থ) আত্মসাতের লক্ষ্যে এটিকে ‘বিদেশি বিনিয়োগ’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। স্বদেশী বিনিয়োগ হওয়া এটি ছিলো 'সি' ক্যাটাগরির কোম্পানি। কিন্তু তথ্য গোপন করে এটিকে ‘বিদেশি বিনিয়োগ’ দাবি করা হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্যে ভূয়া ডকুমেন্টস সৃষ্টি করে এটিকে 'এ' ক্যাটাগরির কোম্পানিতে উন্নীত করা হয়। যা শুল্কমুক্ত আমদানি নীতির পরিপন্থি। 

প্রকৃতপক্ষে দুই বৃটিশ নাগরিক চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টরকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের কোনো রেগুলেটরি অথরিটি দেখেনি। ব্যাংক, বীমা, কাস্টমস, এনবিআর, জয়েনস্টক  কোম্পানি, বেপজা আজ পর্যন্ত তথাকথিত বৃটিশ ইনভেস্টরদের দেখেনি। দেখেনি অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। বাংলাদেশেরই কোনো এক অফিসের এসি রুমে বসে ডান হাতে, বাম হাতে তাদের নামে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ডকুমেন্ট সাবমিট করা হচ্ছে। এমনকি ব্যাংক ঋণের জন্যে জামানত হিসেবে আশুলিয়ার জিরাবো মৌজার জমি দেখানো হয়। অথচ অশরীরী এ ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি আর কেউ নন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি (নোয়াখালী-২ আসন) মো. মোরশেদ আলম। একাধারে তিনি শিল্প পরিবার বেঙ্গল গ্রুপেরও মালিক। তিনি পর পর তিনবার আ.লীগের এমপি ‘নির্বাচিত’ হন। যদিও আওয়ামী লীগে তিনি ‘হাইব্রিড নেতা’ হিসেবেই চিহ্নিত।

বিদেশির নামে বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স, নাম বদলের আবেদন।    ছবি: সংগৃহীত

সর্বশেষ মোরশেদ আলম ২০২৪ সালের কথিত নির্বাচনে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নমিনেশন কেনেন চাউর আছে। এ অর্থ নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা স্বয়ং। দলটির পলাতক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ অর্থ হস্তান্তরে মধ্যস্থতা করেন। আ.লীগের অন্যতম এ  ডোনার বিগত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান  ঠেকাতে শেখ হাসিনাকে অন্তত ৩০ কোটি টাকা দেন। না দেয়ারও কোনো কারণ নেই। বিগত দেড় দশকে ‘আওয়ামী লীগ এমপি’ এর সাইনবোর্ড ব্যবহার করে হাসিনার বিশেষ আনুকূল্যে হাতিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। ঋণ জালিয়াতি, কাগুজে প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে শত শত কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ, সরকারের রাজস্ব আত্মসাৎ, জমি দখলসহ হেন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে একাধিক অনুসন্ধান থাকলেও সেগুলো ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। দুদকের টেবিলে টেবিলে পোষেন ‘শুভাকাঙ্খি’। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকলেও দুদক কখনো সেটি অনুসন্ধান কিংবা তদন্ত করেনি।

‘শিল্পপতি’খ্যাত এ আওয়ামী লীগ নেতা এসএসসি পাস হলেও নিজে ‘পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র ট্রাস্টি মেম্বার। জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছেন ‘ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি.’। তিনি এটির চেয়ারম্যান। রয়েছেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক হিসেবেও। হ্যাঙ্গার্স প্লাস (বাংলাদেশ) নামক প্রতিষ্ঠানটি তার বেনামী প্রতিষ্ঠান। তার পুত্র হুমায়ুন কবির এটির দেখভাল করেন বলে জানা যায়। 

আরও পড়ুন<<>> ন্যাশনাল লাইফের সাড়ে চারশ’ কোটি টাকা মোরশেদের পেটে

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, প্লাস্টিক কাঁচামাল আমদানি করেন। প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাতিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। আওয়ামী মাফিয়া সরকারের ছায়াতলে থেকে তিনি ব্যাংক ঋণসহ নিয়েছেন সব ধরণের অনৈতিক সুবিধা। ব্যাংক ঋণের অর্থে আমদানি বিল মেটানোর কথা বলে বিপুল অর্থ সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেন। সে অর্থ তিনি বৈধতা দিতে ‘বিদেশি বিনিয়োগ’র নামে দেশে আনেন। কথিত সে ‘বিদেশি বিনিয়োগ’ মূলত: মোরশেদ আলমেরই বেনামী বিনিয়োগ। নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের নামে জয়েন্ট স্টক থেকে লাইসেন্স নেন ‘হ্যাঙ্গার্স প্লাস (বাংলাদেশ)’ নামে। প্রতিষ্ঠানটির কথিত ‘পরিচালক’ মুহাম্মদ আব্দুল হক এবং মো. শহিদুল্লাহ মূলত: মোরশেদ আলমের বেতনভুক্ত কর্মচারি। নুসরাত জাহান তার নিকটাত্মীয়।

২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার ‘ডামি’ নির্বাচনে মো. মোরশেদ আলম যে হলফনামা দাখিল করেন তাতে তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘এসএসসি পাস’ বলে উল্লেখ করেন। সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ১৭৯  কোটি ৯৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। বার্ষিক আয় ৬ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার। আর ব্যয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৭২৩ টাকা। এর মধ্যে  শেয়ারবাজার ও ব্যাংককে আমানত রয়েছে ৭১  কোটি ৯২ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৮ টাকা। তার কাছে নগদ টাকা আছে ৪ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার। তার স্ত্রীর অর্থ রয়েছে, ৩ কোটি ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯৭ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তিনি ‘সম্মানি’ লাভ করেন ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা।

তবে মোরশেদ আলমকে তার দল আওয়ামী লীগ ‘হাইব্রিড আওয়ামী লীগার’ বলে চিহ্নিত করেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে, শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরকে অন্তত ১শ কোটি টাকা দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ। নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর টিপু মোরশেদ আলমকে ওই এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। 

আরেক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শিহাব উদ্দিন শিহাবের মতে, মোরশেদ আলম ঢাকায় এমপি সাইনবোর্ড ব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছেন। দলের ত্যাগী ও সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য উপজেলার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় মোরশেদ আলমকে। 

এক অদৃশ্য যাদুর বলে এদেশেরই ক্ষমতাধর একজন ব্যক্তি এসব ম্যানেজ করেন। শুল্কমুক্ত গাড়িটি কোম্পানির চেয়ারম্যানের নামে আমদানি করা হলেও সেটি এখন ব্যবহার করছেন তথাকথিত ক্ষমতাধর ব্যক্তি, যা শুল্কমুক্ত আমদানি নীতির পরিপন্থি।

আপন দেশ/এবি
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়