
ছবি: আপন দেশ
বাংলাদেশের প্রকৌশল সেক্টরে সম্ভবত একজনই। বিচিত্র চরিত্রের অধিকারী। যিনি পতিত আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ নেতা, দলটির পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনার আশির্বাদপুষ্ট। জন্মসূত্রে রাষ্ট্রের মহামান্যের আঞ্চলিক মানুষ। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়দের শুভাকাঙ্খি। আবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রিয়পাত্র (!)।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর পতিতদের বৈধ-অবৈধ সম্পদে গড়া প্রাসাদ পুড়ে ছাঁই। দলটির নেতানেত্রী গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। অপকর্মের হোতাদের কেউ আছেন কারান্তরীণ। রাতে কারাগার-গারদখানায় তো সকালে হাতকড়াসহ আদালতের এজলাসে উঠানো হচ্ছে। এ আসা-যাবার মাঝখানের সাবেক দাপুটেদের কেউ বলছেন, ‘বাকি জীবনে আওয়ামী লীগ করব না; কেউবা হাত জোড় করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইছেন দুর্নীতি থেকে রক্ষার জন্য। এ তালিকায় আছেন হাজারো ছাত্র-জনতাখেকো সদ্য সাবেক মন্ত্রী থেকে শুরু করে নারীনেত্রীও।
পুরো দ্বাদশ সংসদ সদস্য (সরকার) পালানোর পর তাদের দোসদের আমলনামা দেখে বাধ্যতামুলক অবসরে পাঠাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আবার প্রকৌশলীদের কয়েকজন চাকরির মায়া ত্যাগ করে পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের সম্পদ-ব্যাংক হিসাব জব্দ হচ্ছে, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আসছে।
আরও পড়ুন<<>> বেনামি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে মোরশেদ আলমের শত শত কোটি টাকা পাচার
এমন পরিস্থিতিতে তাল গাছের মতো একপায়ে বীরদর্পে স্বপদে আছেন সুলতান মাহমুদ। শুধু প্রকৌশল সেক্টরেই নয়; আওয়ামী লীগের মাঠ নেতাদেরও প্রশ্ন কী ঐশ্বরিক ক্ষমাধারী এই সুলতান? যিনি হাজার কোটি টাকা লোপাটকারী। যার দিকে তাক করা সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ অভিযোগের তীর। নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ ধারণ করলেও অতীত-বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী নিয়ন্ত্রক তিনি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর ২০২২ সাল থেকে আজও আছেন জামালপুর জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবেই। সকল জেলাতেই তার কর্মের ছাপ বিরাজমান।
আরও পড়ুন<<>> দুদক কর্মকর্তার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিষ্ফল লকার অভিযান, নেপথ্যে ভয়ঙ্কর কাণ্ড!
এ-ই প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদকে নিয়ে আপন দেশ-এর বিশেষ অনুসন্ধানে মিলেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। জাল সনদ, ভূয়া লাইসেন্স, স্বজনের নামে-বেনামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, কাজ না করেই বরাদ্দ উত্তোলন, অগ্রিম বিল প্রদান, বদলির চিঠি গায়েব করা, ষ্টান্ড রিলিজ ও দুর্নীতির বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট বাক্সবন্দি, দলীয় মন্ত্রীকেও ব্লাকমেইল করা, এনবিআরকে ফাঁকি দেয়া, প্রতিপক্ষ ঠেঙ্গাতে নিজস্ব ‘সুলতান বাহিনী’ গড়ে তোলা, উর্ধতন কর্মকর্তাকে জিম্মি করা, দুর্নীতি দমন কমিশনের ফাইল হিমাগারে পাঠানো, স্বপরিবারে বিদেশ যেতে এনওসি গ্রহণ এবং সর্বশেষ বান্দরবানে বদলির আদেশপত্রটি লাল ফিতায় বাধা, স্ত্রী মোছাঃ ফাল্গুনী নুপুরের মাধ্যমসহ নিজে অবৈধপন্থায় অর্জিত সম্পদে দেশ-বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের ভয়াবহ তথ্য মিলেছে। এ নিয়ে নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে দুদকও।
আপন দেশ-এর পাঠাকদের জন্য দীর্ঘ অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে ‘জামালপুর জনস্বাস্থ্যের এলিট দুর্নীতিবাজ সুলতাননামা‘ শীর্ষক ধারাবাহিক প্রতিবেদন পড়তে সঙ্গে থাকুন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।