ফাইল ছবি
আইসিসির দৃষ্টিতে ‘মিথ্যাবাদী’ নাসির হোসেন। তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সংস্থাটি। এ সময় সব ধরনের ক্রিকেট খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে তাকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্তা-আইসিসি। এর মধ্যে ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নাসিরের এই কাণ্ড বাংলাদেশের জন্য লজ্জাস্কর বলে মনে করছেন ক্রীড়ামোদিরা মানুষও।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গ করেছেন এ ক্রিকেটার। তিনি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। এরই মধ্যে প্রায় তিন মাস পার করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এ খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন <<>> ফিফা বর্ষসেরার অনুষ্ঠানে কেন ছিলেন না মেসি
এছাড়া ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞার অর্থ হলো, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন বা নিষেধাজ্ঞা শেষের পরবর্তী সময়ে নতুন করে আকসুর কোন ধারা ভঙ্গ করলে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
তার বিরুদ্ধে যে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ইসিবির ২.৪.৩ ধারায় তিনি দুর্নীতি তদন্তের (আকসু) দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে অন্তত ৭৫০ ইউএস ডলারের উপহার নেয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ হলো, তিনি আইফোন-১২ উপহার হিসেবে নিয়েছেনা যা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিতে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া ২.৪.৬ ধারায় তিনি তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিতে সহযোগিতা করেননি এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসি তাদের বার্তায় জানিয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং সাজা মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন। সেজন্য নতুন করে শুনানির দরকার পড়েনি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।