Apan Desh | আপন দেশ

বিশ্বকাপ জার্সিতে যে বার্তা দিয়েছে বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:২১, ২৮ মে ২০২৪

বিশ্বকাপ জার্সিতে যে বার্তা দিয়েছে বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবারই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে দর্শক-সমর্থকদের আগ্রহের শেষ থাকে না। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। তবে অধিকাংশ টাইগার সমর্থকই এবারের জার্সি নিয়ে হতাশ। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বলছে, এবারের জার্সিতে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশের এবারের জার্সিতে কাঁধ থেকে হাতা পর্যন্ত লাল রঙের ছাপ দেয়া। কাঁধের একটু নিচে, বুকের দুই পাশে আছে সোনালি রঙের ছোঁয়া। যেটাকে ‘গোল্ডেন পাইপিং’ বলা হয়। বাকি জায়গা জুড়ে সবুজের সমারোহের মাঝে বাঘের ডোরাকাটা ছাপ।

বুকের মাঝে সাদা হরফে বড় করে লেখা বাংলাদেশ। দেশের নামের উপরের দুই পাশে নিয়ম মেনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও টি-২০ বিশ্বকাপের লোগো। গোল কলারের এ জার্সি পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ।

প্রায় সাতটি জার্সি থেকে বিশ্বকাপের জন্য এ জার্সি বাছাই করে বিসিবি। জার্সি বাছাইয়ের কমিটিতে ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন ও পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। জার্সি তৈরি থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি দেখভাল করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি প্রকাশ্যে

এক গণমাধ্যমকে নাফিস শুনিয়েছেন বিশ্বকাপ জার্সি তৈরির পেছনের গল্প। জার্সি বাছাই নিয়ে নাফিস বলেন, ‘আমাদের কাছে ৬/৭টি ডিজাইন আসে। সেখান থেকে আমরা একটি পছন্দ করি। এটি বাছাইয়ের পেছনেও একটি কারণ (থিম) রয়েছে।’

কি থিম এবারের জার্সির? এ বিষয়ে নাফিস বলেন, ‘বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে বলা হয়ে থাকে। সেটি বিবেচনায় এনে গোল্ডেন পাইপিং (সোনালি রঙ) দিয়েছি। কাঁধ ও হাতায় লাল রঙ ব্যবহার হয়েছে অগ্নি স্ফূলিঙ্গ হিসেবে। আর পুরো বডি হচ্ছে পতাকার রঙের সবুজ। ভেতরে বাঘের ডোরাকাটা ছাপ।’

এবারের জার্সিতে ছোট গোল কলার ব্যবহার করা হয়েছে। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছিল বড় কলার। টি-২০ বিশ্বকাপ বলে একটু ভিন্নতা আনতে ব্যবহার করা হয় ছোট কলার। যদিও জার্সি উন্মোচননের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

মঙ্গলবার (২৮ মে) যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আইসিসি কর্তৃক নির্ধারিত ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১ জুন ভারতের বিপক্ষে হবে দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শান্তদের বিশ্বকাপ মিশন। বাকি তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়