ছবি: সংগৃহীত
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ আর ২০১৭ সালের কনফেডারেশন্স কাপের পর জার্মানির ট্রফি ক্যাবিনেটে যুক্ত হয়নি নতুন কোনো শিরোপা।
সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে জার্মানির পেনাল্টি না পাওয়া। ম্যাচের ১০৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। দুর্দান্ত সেই শট দিক পরিবর্তন করে স্প্যানিশ লেফটব্যাক মার্ক কুকুরেয়ার হাতে লেগে।
মুসিয়ালার শট কুকুরেয়ার হাতে লেগেছে সেটা নিশ্চিত ছিল। রেফারি অ্যান্থনি টেইলর পেনাল্টি আবেদন নাকচ করেছেন। ভিএআর রুম থেকে রেফারি স্টুয়ার্ট অ্যাটওয়েলও ব্যাপারটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেনাল্টি না দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। স্বাভাবিকভাবেই এমন এক ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে ঠিক কী কারণে স্পটকিক পেল না জার্মানি। পেনাল্টি পেলে হয়ত বদলে যেত ম্যাচের ফল।
উয়েফার নিয়ম কী বলছে?
হাত যদি উপরে তোলা অবস্থায় থাকে আর সেটা বলের গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে তাহলে রেফারি বা ভিএআর সেটাকে পেনাল্টি হিসেবে বিবেচনা করবে। বল যখন এ ডিফেন্ডারের হাতে গিয়ে লাগে তখন তার হাতটি নিচের দিকে নামানো ছিলো। এমনই এক সিচুয়েশনের ব্যাপারে আগে থেকেই ট্রেনিং নিয়ে রেখেছিলো উয়েফার রেফারিরা।
এছাড়া ইউরো শুরুর আগে উয়েফার রেফারিদের প্রধান রোবের্তো রোসেত্তি কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ দেখিয়ে পেনাল্টির ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছিলেন। ডিফেন্ডারের হাত নিচে থাকা অবস্থায় হ্যান্ডবল হলে তাতে পেনাল্টি না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
হারের পর জার্মান কোচ হুলিয়ান নাগেলসম্যানের আক্ষেপের বড় অংশ জুড়েই ছিল পেনাল্টি না পাওয়া। এটা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। ধরুন কেউ গ্যালারির দিকে শট নিল এবং বল কারও হাতে লাগল, সেটি কিন্তু পেনাল্টি নয়। ফুটবলে এটি সম্ভব না। কিন্তু বল যখন পরিষ্কারভাবে গোলের পথে ছিল এবং হাতে লাগল, তখন লক্ষ্য নিয়ে কথা বলা অর্থহীন। এমনকি জার্মান কোচ এমন পরিস্থিতির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়ার কথাও সামনে টেনে কথা বলেছেন।
আপন দেশ / কেএইচ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।