ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আঙুলে আঘাত নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দলের প্রয়োজনে আরও একবার জ্বলে উঠেছেন বাংলাদেশের অন্যতম অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার। তার সেঞ্চুরিতেই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে লিড নিল বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিম মাঝে দীর্ঘদিন খেলায় ছিলেন না। জাতীয় দলে খেলার আগে ‘এ’ দলের হয়ে পাকিস্তানে খেলেছেন। সেসময় ব্যাটিংয়ে ভালো করতে না পারলেও এবার টাইগারদের হয়ে দারুণ এক সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক।
এ সেঞ্চুরি দিয়ে ২১ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক। এর আগে ২০০৩ সালে হাবিবুল বাশার সুমন ও জাভেদ ওমর বেলিম পাকিস্তানের মাটিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
মুশফিকের এ সেঞ্চুরিটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি। এ সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে মুশফিক ছাড়িয়ে গেছেম তামিম ইকবালকে। এ ওপেনারের টেস্টে সেঞ্চুরি সংখ্যা ১০টি। বাংলাদেশিদের মধ্যে মুশফিকের সামনে কেবল ১২টি সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হক।
বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরির রেকর্ডেও তামিমকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম। ১১টি সেঞ্চুরির পাঁচটিই মুশফিক করেছেন দেশের বাইরে, যেখানে বিদেশের মাটিতে তামিমের সেঞ্চুরির সংখ্যা চারটি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মুশফিকের সেঞ্চুরি ২০টি।
বাংলাদেশিদের মধ্যে মুশফিকের ওপরে কেবল তামিম ইকবাল। সবমিলিয়ে তামিমের সেঞ্চুরি ২৫টি।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান ছুঁয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ১৫ হাজার ১৯২ রান নিয়ে সবার ওপরে তামিম।
মুশফিক মাত্র ৯ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেন। ৩৪১ বলে ২২টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে ১৯১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মুশফিকের সেঞ্চুরির পাশাপাশি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৯৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন সাদমান ইসলাম।
তার আগে ফিফটির দেখা পেয়েছেন মুমিনুল হক, লিটন দাস। মুশফিকের সেঞ্চুরির দিনে মেহেদী হাসান মিরাজও করেন হাফ সেঞ্চুরি। এরই মধ্যে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৫৫০ রান।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।