ছবি : সংগৃহীত
রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে বাতাসের মতো ছুটছেন নাহিদ রানা। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা নাহিদ হাসান। তার একটি বল এমনভাবে তিনি ছুঁড়ছেন যা একটা সময় ১৪০ কি.মি. প্রতি ঘন্টায় গতিতে স্টাম্পের পিছনে থাকা লিটন দাসের গ্লাভসে ঢুকে যায়।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ সুইপ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাদের অনুসন্ধানে একটি বড় অগ্রগতি অর্জন করে হাসান মাহমুদ এবং নাহিদ রানা যৌথভাবে ৯টি উইকেট নিয়েছিলেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে আবহাওয়া অনুকূলে নয়। কখনও বৃষ্টি আবার কখনও প্রচণ্ড গরম। তবে রানা বল করার সাথে সাথে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের মধ্যে প্রত্যাশার অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে। রানা কয়েকবার ১৫০ কিলোমিটার বেগেও বল ছুঁড়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ১৫০ পেড়িয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তানের জন্য সম্পূর্ণ অজানা নন - তারা গত দুই সপ্তাহে তার দক্ষতা বেশ আঁচ করতে পেড়েছে।
নিজের তৃতীয় বলে স্ট্রাইক করেন তিনি। সকাল থেকে অফ স্টাম্পের বাইরে শান মাসুদ। রানার অতিরিক্ত গতি তাকে আউট করে। মাসুদের আউট হওয়ার ঠিক আগে বাবর আজম রানার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরের ওভারের প্রথম বলে বাবরের ফরোয়ার্ড প্রেসটি বাইরের প্রান্তে নিয়ে যায়।
একই ফিল্ডার অবশ্য পরের বলেই নামিয়ে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ইন-ফর্ম ব্যাটারের জন্য এটি একটি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ রানার দক্ষতায় । যদিও তার জন্য আরও পুরস্কার অপেক্ষা করছে। প্রথমে সৌদ শাকিলের ফর্মে, যিনি রানার পরের ওভারে দুই রানে ক্যাচ দেন।
পাকিস্তানের অধিনায়ক। তাদের সবচেয়ে সেলিব্রেটেড ব্যাটার। এই টেস্টের আগে ব্যাটার গড় ৬১.৫৫। তিনটির জন্যই বাংলাদেশের পরিকল্পনা ছিল এবং তারা সকলেই রানাকে কেন্দ্র করে তাদের গতির সাথে তাল মিলিয়েছিল। এদিন রানা তার প্রথম তিন ওভারেই সবাইকে ফেরত পাঠান।
কোনো উইকেটের পর খুব একটা সেলিব্রেট করেন না নাহিদ রানা। মুখে হাসি নিয়ে ফিল্ডারদের কাছে হেঁটে যেতে দেখা গেছে, যা খুব রেট্রো অনুভূতি।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।