ফাইল ছবি
অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
কানপুরে অনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে খেলেই অবসরে যাবেন।
এ সময় তিনি আরও জানান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই ছিল এ সংস্করণে তার শেষ ম্যাচ। তবে ওয়ানডে খেলে যাবেন। পাকিস্তান হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসরে যাবেন সাকিব।
চলতি বছর জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন সাকিব। সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সে ম্যাচটি অবশ্য তিনি ভুলে যেতে চাইবেন। সেদিন ব্যাট হাতে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। বল হাতেও ১৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট শিকার করতে পারেননি।
আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ সফরে আসবে। সে সফরে তারা টাইগারদের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভূক্ত দুটি টেস্ট খেলবে। সে সিরিজের পরই সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সাকিবকে আর দেখা যাবে না।
অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটে বেশ দীর্ঘ সময় ধরেই অনিয়মিত সাকিব। শেষ দুই বছরে মাত্র ৭টি টেস্ট খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। তাতে ব্যাট হাতে ৩১.৭২ গড়ে ৩৪৯ রান করেছেন তিনি। নেই কোনো সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৮৭ রানের। এ সময়ে বল হাতেও খুব একটা সফল নন তিনি। ৩৮.৭৬ গড়ে ১৭ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। কোনো ইনিংসেই নেই পাঁচ উইকেট।
২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় সাকিবের। এরপর ৭০ টেস্টে ১২৮ ইনিংসে ৩৮.৩৩ গড়ে ৪৬০০ রান করেছেন সাকিব। নামের পাশে আছে ৫টি সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ২১৭ রানের।
আর বল হাতে ১১৯ ইনিংসে ৩১.৮৫ গড়ে ২৪২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ১৯ বার ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ২ বার। আর মাত্র ৮টি উইকেট শিকার করতে পারলে ৪ হাজার রান এবং ২৫০ উইকেট শিকারির সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম লেখানোর সুযোগ আছে তার সামনে।
খুলনায় ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক সাকিবের। অবসর ঘোষণার আগে ১২৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১২৭ ইনিংসে ২৩.১৯ গড়ে ২৫৫১ রান করেছেন তিনি, ১২১.১৮ স্ট্রাইক রেটে। ১৩টি অর্ধশতক আছে তার নামের পাশে। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৮৪ রানের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ১২৬ ইনিংসে বল করে ২০.৯১ গড়ে ১৪৯ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। আর মাত্র ১টি উইকেট পেলেই আড়াই হাজার রান এবং ১৫০ উইকেটের ডাবলস অর্জন করতে পারতেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে দুইবার ৫ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব। শুধু টিম সাউদি এবং রশিদ খানই তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকার করতে পেরেছেন।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।