ফাইল ছবি
বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের দুই ভিন্ন চিত্র: ক্রিকেট ও নারী ফুটবল দল। সম্প্রতি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল কাঠমান্ডু থেকে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের মুখোমুখি হয়েছে।
ক্রিকেটারদের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মাসিক বেতন প্রদান করে। এতে অনেকের আয় বছরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার উপরে। তবে এত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স গড়পড়তা। তাদের নানা মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডে দেশ ও বোর্ডকে বিব্রত করে।
অন্যদিকে নারী ফুটবল দলের জন্য পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও তাদের বেতন বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে বেতন পান না। অনেক সময় দুই-তিন মাস পর এক মাসের বেতন পান। মাসে ৫০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। অথচ ম্যাচ ফি থাকে বকেয়া।
নারী ফুটবলারদের জন্য খেলার সুযোগও সীমিত। কঠোর পরিশ্রম করলেও প্রস্তুতি ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ কম। অনেক সময় বাফুফে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে পারে না অর্থের অভাবে।
নারী ফুটবলাররা ২০১৬ সাল থেকে বাফুফে ভবনে আবাসিত। যেখানে এক রুমে ৬-৭ জন থাকতে হয়। ইনজুরি সমস্যাও রয়েছে; উদাহরণ হিসেবে কৃষ্ণা রানী সরকার। সাফের ফাইনালে তার জোড়া গোলের পর থেকে তিনি ইনজুরিতে ভুগছেন। তবে গণমাধ্যম ও ফুটবলপ্রেমীদের চাপের ফলে বাফুফে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
কোচিং স্টাফের পরিবর্তনও সমস্যা সৃষ্টি করেছে। নারী দলের কোচ সাইফুল বারী টিটুর নেতৃত্বে নতুনত্ব আনলেও সিনিয়র ফুটবলাদের সঙ্গে টানাপোড়েন তৈরি হয়। তবুও দেশের জার্সির প্রতি তাদের কমিটমেন্ট অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল একটি সুন্দর উদাহরণ। যেখানে চাকমা, গারো, সাওতাল ও বাঙালি—সব জাতির খেলোয়াড়রা একত্রে লড়েন ও জিতেন। আর ক্রিকেট দলের বর্তমান চিত্র যেন আরেকটি বাস্তবতা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।