বিদায়কালে আবেগপ্রবণ ক্লে কোর্টের রাজা রাফায়েল নাদাল
প্রত্যেক ক্রীড়াবিদেরই স্বপ্ন থাকে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা রাঙানোর। কিন্তু পারলেন না রাফায়েল নাদাল। ডেভিস কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিল স্পেন। এরসঙ্গেই ২৩ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি ঘটল স্প্যানিশ তারকার। শেষ ম্যাচটা হেরেই বিদায় নিতে হলো রাফাকে। শেষে আবেগপ্রবণ ক্লে কোর্টের রাজা।
ডেভিস কাপে স্পেনের হয়ে প্রথম সিঙ্গেলসে নেদারল্যান্ডসের বর্টিচ ফন ডি জান্ডশুল্পের কাছে হেরেছেন তিনি। অপর সিঙ্গলসে জয় পান কার্লোস আলকারাজ়। এরপর নজর ছিল ডাবলসে। কিন্তু ডাবলসে আলকারাজ় ও মারসেন গ্রানোয়ার্স হেরে যান নেদারল্যান্ডসের জুটির কাছে। এরপরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে স্পেনের বিদায় নিশ্চিত হয়।
মালাগায় আয়োজিত ম্যাচে নাদাল সিঙ্গলসে হেরেছেন ৬-৪, ৬-৪ গেমে। শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ৩৮ বছরের নাদালের খেলায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট ছিল। তিনি প্রথমে পিছিয়ে পড়ার পর আর ফিরতে পারেননি।
এরপর ডাবলসকে আলকারাজ় ও মারসেল হেরে যান ৭-৬, ৭-৬ গেমে। গত অক্টোবর মাসেই নাদাল অবসরের ঘোষণা করেছিলেন। চেয়েছিলেন দেশের জার্সিতে বিদায় জানাতে। তাঁর হাতে ডেভিস কাপ দেখে বিদায়ের আশা করেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু সেটা হলো না।
সাম্প্রতিককালে চোটের সমস্যায় ভুগেছেন ২২ বারের গ্র্যান্ডস্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন নাদাল। চোটের সঙ্গে লড়তে না পেরেই অবসরের ঘোষণা করেন তিনি। গত প্যারিস অলিম্পিকের পর এটা ছিল নাদালের প্রথম ও ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
ক্লে কোটের রাজার শেষের শুরু দেখার জন্য মালাগায় নেমেছিল দর্শকের ঢল। রাফায়েল নাদাল স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন আবেগপ্রবণ। তিনি দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ার আমার। এই ভালো ও খারাপ সময়ে আপনারা আমার পাশে ছিলেন, খেলার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন।
টেনিস ছাড়ার কারণ যে চোট সেটা তিনি জানিয়েছেন। বলেন, আমি টেনিস খেলতে খেলতে ক্লান্ত নই, আমার শরীর চায় না আমি খেলা চালিয়ে যাই। আমি এটা মেনে নিয়েছি। তবে আমি ভাগ্যবান নিজের পছন্দের খেলা দীর্ঘদিন খেলতে পেরেছি।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে নিজের অবসর নিয়ে অশ্রুভেজা চোখে নাদাল বলেন, আমি মনে শান্তি নিয়েই যাচ্ছি। রেখে যাচ্ছি উত্তরাধিকার। যেটাকে আমি মনে করি, শুধু খেলাধুলার ক্ষেত্রে নয়, ব্যক্তিগতও। আমি জানি, যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, সেটা যদি শুধু কোর্টে যা করেছি তার জন্য হতো তবে সেটা একই হতো না।
এ সময় নাদাল তাঁর অনবদ্য ক্যারিয়ারের পেছনে অবদানের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন যারা তাঁকে সাহায্য করেছেন তাদের। তার মধ্যে আছেন তাঁর চাচা টনি নাদালও। নাদালের লম্বা ক্যারিয়ারের পেছনে টনি নাদালেও রয়েছে বড় ভূমিকা। ছোটবেলায় চাচাই তাঁকে কোচিং করিয়েছিলেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।