
অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বড্ড দুঃসময় পার করছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। হার দিয়েই ক্যারিবিয় সফর শুরু করেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সমতায় সিরিজ শেষ করেছিল তারা। ঘুরে দাঁড়ানো প্রত্যাশা নিয়ে প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছে সফরকারিরা।
তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজে তেমন আশা ছিলনা টাইগারদের। এমন অবস্থায় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সিরিজে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজের মুখোমুখি হয়ে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করেছে লাল সবুজের ক্রিকেটাররা।
এ জয়ে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। ব্যাট হাতে খুব বড় কোনো ইনিংস খেলেননি। ২৪ বলে অপরাজিত ২৬ রান। তবে শেষ দিকে তার এবং শামীম পাটোয়ারির জুটিটাই বাংলাদেশকে ১৪৭ রানের লড়াকু পুঁজি এনে দিতে সক্ষম হয়।
ব্যাট হাতে যাই করুন না কেন, শেখ মেহেদী হাসান বল হাতে ছিলেন সবচেয়ে বেশি বিধ্বংসী। প্রথম তিন ওভারেই ৪টি উইকেট তুলে নেন তিনি। তার ঘূর্ণি বোলিংয়েই দিশেহারা হয়ে ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন তিনি।
ব্যাট এবং বল হাতে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জয় করে নেন শেখ মেহেদী হাসান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে মেহেদী হাসান বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি টাইট বোলিং করার জন্য। কারণ, আমরা জানতাম পুঁজি ছিল কম। এই কম পুঁজিকে ধরে রাখতে হলে, তেমন বোলিংই করতে হবে।
তবে এত ভালো বোলিংয়ের কারণ হিসেবে মেহেদী হাসান কৃতিত্ব দিলেন সিরিজের আগে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অভিজ্ঞতাকে। তিনি বলেন, আমি এই উইকেটগুলো বেশ উপভোগ করেছি। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছিলাম আমি, যা আমাকে বেশ আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।
শামীম পাটোয়ারীর প্রশংসা করে মেহেদী হাসান বলেন, শামীম দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে। ওই সময়টা আমাদের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি চেষ্টা করেছি তার সঙ্গে একটা ভালো জুটি গড়ে তোলার জন্য।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।