
বার্সেলোনার দুর্গ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আতলেতিকো মাদ্রিদের জয়
সময়টা বোধহয় পক্ষে নেই। লা লিগায় শেষ দুই ম্যাচে আসেনি জয়। চোটের কারণে ছিলেন না সেরা তারকা লামিনে ইয়ামালও। এ পরিস্থিতিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা। লড়াইটা শুধু ঘুরে দাঁড়ানোর ছিল না, ছিল শীর্ষস্থান ধরে রাখারও। কিন্তু ঘরের মাঠেও জয়ের নাগাল পেল না হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
দেড়যুগ পর কাতালানদের ঘরের মাঠে জিতল আতলেতিকো। ২০০৬ সালের পর বার্সেলোনার মাঠ দুর্গ হয়ে উঠেছিল অ্যাটলেটিকোর জন্য। সেখানে অ্যাওয়ে কোনো ম্যাচ জেতেনি তারা। এবার সে দুর্গ জয় করে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে উঠে এল ডিয়েগো সিমিওনির দল।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঘরের মাঠে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে লা লিগার শীর্ষস্থান খোয়াল বার্সা। ১৮ ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর পয়েন্ট ৪১, ১৯ ম্যাচে বার্সার ৩৮ আর ১৭ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের ৩৭।
বার্সার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বিরতির আগে দাপট ছিল স্বাগতিকদেরই। প্রথম ১৫ মিনিটে আতলেতিকোর বক্সে তারা বল স্পর্শ করে ১৩বার। ২১তম মিনিটে গিলানো সিমেওনের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি দেননি রেফারি, ভিএআরেও বদলায়নি সিদ্ধান্ত।
৩০তম মিনিটে পেদ্রির গোলে এগিয়ে যায় কাতালানরা। গাভিকে পাস দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন পেদ্রি। ফিরতি বল পেয়ে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। বিরতির আগে পোস্টে কোনো শট নিতে না পারা আতলেতিকো সমতা ফেরায় ৬০তম মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে গোল করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পল।
এরপর ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে নাটকীয় সে গোল। নাহুয়েল মোলিনার পাস পেয়ে প্রথম স্পর্শে বল জালে জড়ান বদলি খেলোয়াড় আলেকসান্দার সরলথ। স্তব্ধ হয়ে যায় গ্যালারি। মাটিতে লুটিয়ে নিজেদের হতাশাই জানাচ্ছিলেন বার্সা ফুটবলাররা।
ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক বললেন, খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্ব করি আমি, তবে এ ফলে হতাশ। বড়দিনের আগে এটা বড় ধাক্কা, তবে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব। এখন বিরতি এসেছে, আমাদের সবার বিরতিই দরকার।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।