বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম : ফাইল ছবি
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে। চার বছর কেটে গেলেও বিশ্বজুড়ে বহুল পরিচিত এ মাঠ এখনও প্রস্তুত হয়নি। নানা সময়ে সংস্কারব্যয় বৃদ্ধি হলেও, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে স্টেডিয়ামটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) হস্তান্তরের সময়সীমা আরো ছয় মাস বাড়িয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। দেশের প্রধান বহুমুখী ক্রীড়া ভেন্যুটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৯৮.৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করে।
প্রথমে কাজটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও, বাজেট সংশোধনের বিলম্বে খরচ ৬০ কোটি টাকা বেড়ে যাওয়ায় সময়সীমা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যদিও ছাত্র জনতার বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান জোর দিয়েই বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও বলেছিলেন একই কথা। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পেরিয়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এ মাসে খেলা শুরু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও মাঠ প্রস্তুত হয়ে গেছে আগেই। বসেছে অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক, যেখানে ঘরোয়া অ্যাথলেটিকসও হয়েছে। কিন্তু ফুটবল ঠিক কবে ফিরবে, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালও তা পুরোপুরি বলতে পারছেন না।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত ) মাহবুব মোর্শেদ সোহেল বলেন, পরিকল্পনা কমিশন সম্প্রতি প্রকল্পের সময়সীমা অরও ছয় মাস বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে । আশা করছি, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না ঘটলে এ সময়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে পারব।
দ্বিতীয়বার সময়সীমা পূরণে ব্যর্থতার বিষয়ে সোহেল জানান, বিভিন্ন কারণ রয়েছে যা তারা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশনকে ব্যাখ্যা করেছেন। বাফুফে কর্মকর্তারা স্টেডিয়াম ব্যবহারের বিষয়ে কয়েকটি সভা করেছেন। ৯ অক্টোবর এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, আমরা এনএসসিকে গত বুধবার একটি চিঠি পাঠিয়েছি, যাতে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই মাঠ, ড্রেসিং রুম ও মিডিয়া সেন্টার হস্তান্তরের অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন- শিপ লিগের ম্যাচগুলো এখানে আয়োজন করতে চাই। এছাড়া ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে নারী দলের দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফিরিয়ে আনতে চাই।
সোহেল জানিয়েছেন, দুইটি প্রধান কাজ বাকি রয়েছে পশ্চিম গ্যালারির উপর শেড স্থাপন এবং ফ্লাডলাইট লাগানো । মিডিয়া সেন্টার প্রায় প্রস্তুত এবং গ্যালারি ও ভিআইপি বক্সের চেয়ারের কাজ শেষ। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ফ্লাডলাইট ইনস্টল করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি । ফ্লাডলাইটের বাল্ব কয়েক দিনের মধ্যে ভেন্যুতে পৌঁছানোর কথা আছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।