সোহানের জাদুকরী ব্যাটিংয়ে রংপুরের জয়

শেষ ওভারে রংপুর রাইডার্সকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ২০তম ওভারে জয়ের জন্য রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। বল হাতে ছিলেন কাইল মেয়ার্স।

প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখান সোহান। এরপর টানা চারটি বাউন্ডারি মেরে সমীকরণ নিয়ে আসেন ১ বলে ২ রানে। ম্যাচের শেষ বলে দুর্দান্ত এক ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

এমন অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে সোহানের সংগ্রহ শেষ ওভারে ৩০ রান। যা রাইডার্সকে এনে দেয় অনন্য এক জয়। টুর্নামেন্টে এটি তাদের টানা ষষ্ঠ জয়।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে সাবধানী সূচনা করেন তামিম। শেখ মেহেদীর প্রথম ওভার মেইডেন দেন তিনি। তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত কিছুটা আগ্রাসী ছিলেন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লে'তে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে'তে বিনা উইকেটে ৪৬ রান করে বরিশাল।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই জুটির পঞ্চাশ পূরণ করেন তামিম-শান্ত। ৮১ রানে ভাঙে বরিশালের ওপেনিং জুটি। ১১তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বি প্রথমবার আক্রমণে এসে শান্ত। তামিমকে বিদায় করেন। তার চতুর্থ স্টাম্প তাক করা তার প্রথম বলে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন শান্ত। এক্সট্রা কভারে খুশদিল শাহকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩০ বলে ৪১ রান করেন তিনি।

এরপর উইকেটে এসেই প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান কাইল মেয়ার্স। সে ওভারের শেষ বলে মিড অফে অ্যালেক্স হেলসকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তামিম। চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪০ রান আসে তামিমের ব্যাটে। এ বলের আগের দুটি বলেও প্রায় ক্যাচ তুলে দিচ্ছিলেন তামিম। পরের দুই ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাহিদ রানা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বোলিং করলেও ১৬তম ওভারে ২২ রান দেন রাব্বি। এরপরের ওভারে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আকিফ জাভেদ।

তার লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়। ১৮ বলে ২৩ রান করেন তিনি। দ্রুত রান তোলার মিশনে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ১৮তম ওভারে সাইফউদ্দিনের স্লোয়ারে পুল করতে গিয়ে ডিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ছয় বলে দুই ছক্কা ও একটি চারে ২০ রানের ইনিংসে ১৮০ রানের গণ্ডি পার হয় বরিশাল। একটি চার ও সাতটি ছক্কার ইনিংসে শেষ ওভারে ২৭তম বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন মেয়ার্স।

আপন দেশ/এমবি