বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দিয়ে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে চায় বাংলদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছেন না টাইগ্রেস দলপতি নিগার সুলতানা জ্যোতি। সে লক্ষ্য সামনে রেখে রোববার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় উইন্ডিজ মেয়েদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে লাল সবুজের মেয়েরা।
তিন বছর আগে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিল ক্যারিবীয়রা। বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট পাঁচবারের দেখায় সবকটিতেই জয় পেয়েছে হেইলি ম্যাথিউসরা। যেখানে চারটি ম্যাচ জিতেছে টি-টোয়েন্টিতে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জিততে না পারা বাংলাদেশের এবার লক্ষ্যটা ভিন্ন।
এক ভিডিও বার্তায় সে কথাই জানান জ্যোতি। ম্যাচের আগে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এখানে এসে আমরা দুটা অনুশীলনের সেশন পেয়েছি। যা আমাদের কাছে খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। কারণ এই কন্ডিশনে অনেকেই আগে খেলিনি। তবে উইকেট দেখে যা বুঝতে পেরেছি, ব্যাটাররা এখানে অনেক ভালো করবে। আশা করি সিরিজটা দারুণভাবেই শুরু করতে পারবো।
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলকে মেলাতে হবে কঠিন সমীকরণ। সেটি মাথায় আছে উল্লেখ করে জ্যোতি বলেছেন, এখানে আসার আগে অনেক সমীকরণই মাথায় এসেছিল, তবে আমার কাছে মনে হয় দল হিসেবে খেলাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আসলে ভালো ক্রিকেট খেলাটাই এই মুহূর্তে বেশি দরকার। দলের সবার মধ্যে একটা মনোভাব দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে, এখানে আমাদের ওয়ানডে কোয়ালিফাই করতে হবে বা পয়েন্ট লাগবেই- এই ধারণা মাথা থেকে ফেলে দিতে। চাপ কমিয়ে সবাই যেন নিজেদের সেরাটা খেলতে পারে এই জন্যই এভাবে চিন্তা করা।
দলের কেউই বাছাই পর্ব খেলতে চায় না- এটিই জ্যোতির কাছে ইতিবাচক লাগছে। দলের অধিনায়ক আরও বলেছেন, আমাদের সবার জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের যাওয়ার জন্য দলের এটা খুবই ভালো একটি সুযোগ। কেউই কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে যেতে চায় না, আমরাও না। এখানকার সুযোগ কাজে লাগাতে চাই৷ আমাদের একটি ভালো দল হয়েছে, সুযোগ আছে কিছু পয়েন্ট আদায় করে নেয়ার। এটা শুধু আমাদের জন্যই না, যেসব নারীরা অপেক্ষা করছেন, আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন, সবার জন্যই। আমি সামনের দিনগুলোর অপেক্ষায় আছি।
এমন সমীকরণের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ মাঠে গড়াচ্ছে রাতে। জ্যোতি, নাহিদা আক্তাররা পরের দুটি ম্যাচ খেলবেন ২১ এবং ২৪ জানুয়ারি। এরপর ২৭, ২৯ এবং ৩১ জানুয়ারি হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট কিটসে।
দল নিয়েও বেশ আশাবাদী বাংলাদেশের অধিনায়ক, আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে যা আমরা নির্দিষ্ট দিনে মাঠে বাস্তবায়ন করতে চাই। আমাদের প্রত্যেক প্লেয়ারের আলাদা আলাদা প্ল্যান আছে৷ আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করছি যা এখানে প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের ভালো বোলার আছে, টপ অর্ডার ব্যাটার আছে। দেখার অপেক্ষায় আছি তারা দলে কীভাবে ভূমিকা রাখে।
এমনিতেই সেন্ট কিটসের উইকেট কিছুটা ব্যাটিং বান্ধব। দুই দিন অনুশীলনের অভিজ্ঞতা থেকে জ্যোতি জানালেন, উইকেট অনেক ভালো। এখানকার উইকেটে খেলাটা ব্যাটারদের জন্য তুলনামূলক সহজ হবে। ব্যাটে-বলে খুব ভালো সংযোগ হয়। ছেলেদের দল যখন খেলে গেছে সেটাও দেখেছি। এই ভেন্যুতে অনেক বেশি রান হয়েছে। এদিক থেকে বলবো, এটা আমাদের জন্য স্বস্তির। কারণ এই সংস্করণে ব্যাটাররা আগের সিরিজে ভালো করেছেন এবং ছন্দে আছেন। আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। অবশ্যই টপঅর্ডারকে ভালো করতে হবে, তাহলে ভালো একটা স্কোর করা সম্ভব।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।