Apan Desh | আপন দেশ

পাহাড় ঠেলে শিরোপা উঠলো লঞ্চে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:১৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ২২:২৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পাহাড় ঠেলে শিরোপা উঠলো লঞ্চে

তামিম ইকবাল

বিপিএলের ১১তম আসরের ফাইনালে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছে চিটাগাং কিংস। শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে একটু পর পরই বদলেছে ম্যাচে চরিত্র। তবে শ্বাসরুদ্ধকর এ ম্যাচে শেষ হাসিটা হেসেছে বরিশালই। ৩ উইকেটে চট্টগ্রামকে হারিয়ে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়।

ফাইনালে বরিশালের হয়ে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয়। শুরুতেই চিটাগংয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে অপরপ্রান্তে থাকা তাওহীদ হৃদয় দেখেশুনেই খেলতে থাকেন।

পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তুলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রান তাড়ায় নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন তামিম ও হৃদয়। ৫.৪ ওভারে জুটির পঞ্চাশ পূরণ করেন তারা। বিপিএলের ফাইনালে রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে এটাই প্রথম পঞ্চাশ রানের জুটি। যেকোন উইকেট বিবেচনায় এটি অষ্টম পঞ্চাশ ছোঁয়া রানের জুটি।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকা বরিশাল অধিনায়ক ২৪ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। তবে এরপর নিজের ইনিংসকে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ২৯ বলে ৫৪ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে খালেদ আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৭৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে বরিশালের।

চলতি আসরে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ডেভিড মালান ফাইনালে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। তিনি মাত্র ১ রান করেই শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। তার বিদায়ে ৭৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল।

তবে ৭৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মেয়ার্স। তবে বেশিদূর এগোনোর আগেই এই জুটিকে থামান নাঈম ইসলাম। নাঈমের বলে আরাফাত সানির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ২৮ বলে ৩২ রান করা তাওহীদ হৃদয়। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন কাইল মেয়ার্স। তবে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন মুশফিকও। ৯ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এতে ১৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তামিমের দল।

মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন কাইল মেয়ার্স। এ জুটিতে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে। তবে শেষের দিকে চাপে পড়ে বরিশাল। সেই চাপ অবশ্য সামলে নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। তার ঝড়েই জয় পেয়েছে বরিশাল।

এর আগে টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। খাজা নাফি ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে দারুণ শুরু করে চিটাগং। ৭৬ বলে ১২১ রানের জুটি গড়েন তারা। ব্যক্তিগত ৬৬ রানে নাফি ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ইমন।

৪৯ বলে ৭৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন ইমন। বিপিএল ফাইনালের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো উদ্বোধনী জুটিতে তারা দলীয় সেঞ্চুরি এনে দেন। বিপিএলের ফাইনালে এর আগে শতরানের কোনো উদ্বোধনী জুটি ছিল না। বরিশালের হয়ে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৬ রানের জুটি গড়েছিলেন গত বছর, যা এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

তিনে নেমে ঝড় তোলেন গ্রাহাম ক্লার্কও। ২৩ বলে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তুলতে পেরেছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন এবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ আলি।

আপন দেশ/এমএস

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়