
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল
আট বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দাপুটে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির এ বৈশ্বিক আসরে সেবারই প্রথম সেমিফাইনালে খেলেছিল লাল সবুজ দল। কিন্তু এবারের আসরে টাইগারদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখি। ভারতের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু 'ডু অর ডাই' ম্যাচটিতে ৫ উইকেটে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে ফিল সিমন্সের শিষ্যদের।
নিয়মরক্ষার ম্যাচে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায়। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, সব সময়ই আমরা ম্যাচ জিততে চাই এবং এ জন্য আমাদের শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করি।
সাফল্য পেতে দলের পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে চান শান্ত। তিনি বলেন, এটি আরেকটি ম্যাচ এবং (আমরা) দেশের জন্য খেলছি, এটি
আমাদের জন্য সবসময় গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা উজার করে দেবে বলেই বিশ্বাস করেন শান্ত। তিনি বলেন, আমি আশা করি ছেলেরা ভক্ত-সমর্থক এবং দলের জন্য বিশেষ কিছু করবে। একটি ভালো ম্যাচ হবে আশা করছি।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাদের মতই ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে টুর্নামেন্টে থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে পাকিস্তানের। শান্তর সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ আকিব জাভেদও। তিনি জানান, নিয়ম রক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ক্ষুধার্ত পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস যোগাতে সহায়ক হবে। তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করতে নেমে সাফল্য পায়নি স্বাগতিক পাকিস্তান।
আকিব বলেন, কোন অজুহাত নেই। জীবনে এমন কোনো অজুহাত থাকা উচিত নয়। তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি, খেলোয়াড়রা ভক্তদের চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে এবং শেষ ম্যাচে ভালো ফল করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, দলের এমন অবস্থায় খেলোয়াড়রা মোটেই খুশি নয়, হেরে যাবার পর কেউ খুশি থাকে না। তবে সবাই জয়ের জন্য কঠোর চেষ্টা করে এবং আমরা সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জিতেছি। প্রতিটি ম্যাচই গর্বের। তাই কাল (বৃহস্পতিবার) জয় দিয়ে শেষ করতে চাই।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩৯ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ৫টিতে জিতেছে এবং ৩৪টিতে হেরেছে। সম্প্রতি ওয়ানডেতে দেখা হয়নি বাংলাদেশ- পাকিস্তানের।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা। এছাড়া গত পাঁচ বছরে মাত্র চার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুইদল। শেষ পাঁচ ম্যাচের ২টিতে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ৩টিতে জয় পেয়েছে।
বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, পারভেজ হোসেন ইমন, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা।
পাকিস্তান দল : মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), বাবর আজম, ইমাম উল হক, কামরান গুলাম, সৌদ শাকিল, তৈয়ব তাহির, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, সালমান আগা, উসমান খান, আবরার আহমেদ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।