
ডিপিএলের প্রথম দিনেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ইফতেখার হোসেন
মাঠে গড়াল ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। সোমবার সকালে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যেকার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করল এ ঘরোয়া লিগ। শুরুর দিনেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ইফতেখার হোসেন। গুলশানের এ ব্যাটার পেলেন লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেরও প্রথম।
মোহামেডানের বিপক্ষে ১০৮ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন ২২ বছরের এ ব্যাটার। ইবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম, নাসুম আহমেদের মতো বোলারদের সামলে ১১০ বলের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে তিনি মারেন ৩টি ছক্কা।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা ইফতেখার খেলেছেন ২০২২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। সেবার ৪ ইনিংসে এক ফিফটিসহ তার ব্যাট থেকে আসে ১২১ রান। ওই বছরই বরিশাল বিভাগের হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে যায় তার। প্রথম দুই বছর তেমন কিছু করতে পারেননি তিনি।
গত বছরের জাতীয় লিগে স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬৩ রান করেন ইফতেখার।
প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির হয়ে লিস্ট 'এ' অভিষেক হয় ইফতেখারের। সবকটি ম্যাচ খেললেও মনে রাখার মতো কিছু তিনি করতে পারেননি। ১৩ ম্যাচে ছিল না কোনো ফিফটি। মাত্র ১৫.২৩ গড়ে তিনি করেন ১৯৮ রান, সর্বোচ্চ ৪১।
বছর ঘুরতেই এবার নতুন আসরে প্রথম ম্যাচে প্রথম পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংসকে তিন অঙ্কে রূপ দিলেন ইফতেখার। পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই উইকেট হারানোর পর ক্রিজে যান তিনি। সঙ্গী হিসেবে পান জাওয়াদ আবরারকে। শুরুর ধাক্কা সামলে পাল্টা আক্রমণ করেন জাওয়াদ। ফলে কিছুটা সহজ হয়ে যায় ইফতেখারের কাজ।
তৃতীয় উইকেটে ৮৩ রানের জুটি গড়েন জাওয়াদ ও ইফতেখার। যেখানে জাওয়াদের অবদান ৫৪ রান। ৪ চারের সঙ্গে ৫ ছক্কায় ৮৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপেনার জাওয়াদ।
এরপর দায়িত্ব নেন ইফতেখার। তাইজুলের বল ওয়াইড লং দিয়ে ওড়ান ছক্কায়। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারের পরের ওভারে মিড উইকেট দিয়ে আরেকবার পাঠান সীমানার ওপারে। ইবাদত হোসেনের বলে চার মেরে ৬৬ বলে সাদা বলের ক্রিকেটে প্রথম ফিফটি করেন ইফতেখার। সেখান থেকে তিন অঙ্কে যেতে তার লাগে আর ৩৮ বল।
নাসুমের বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে তৃতীয় ছক্কা মারেন তরুণ ব্যাটসম্যান। নব্বই ছুঁয়ে সাইফের পরপর দুই বলে বাউন্ডারি মেরে ৯৯ রানে পৌঁছান তিনি। পরের বলেই আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। পরে সাইফ উদ্দিনের বলেই ছক্কার চেষ্টায় তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় তার ইনিংস।
ইফতেখারের সেঞ্চুরি ও জাওয়াদের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ২৯৮ রানের সংগ্রহ পায় গুলশান। পাঁচ নম্বরে নেমে হাবিবুর শেখ ৫৩ বলে করেছেন ৪৭ রান।
মোহামেডানের হয়ে ১০ ওভারে ৬৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন আবু হায়দার। ১ উইকেটের জন্য সাইফের খরচ ৭৮ রান।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।