Apan Desh | আপন দেশ

তামিম ইকবালকে দেখতে হাসপাতালে সাকিবের বাবা-মা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ২৫ মার্চ ২০২৫

তামিম ইকবালকে দেখতে হাসপাতালে সাকিবের বাবা-মা

ছবি: আপন দেশ

তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের মধ্যে বন্ধুত্বের গল্পটা পুরনো। ক্যারিয়ারের শুরুতেই দুজনের মধ্যে ছিল ঘনিষ্ট সম্পর্ক। মাঝে তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে দূরত্ব। তবে বন্ধুর অসুস্থতার খবরে সে দূরত্ব যেন কিছুটা হলেও ঘুচেছে। সোমবার (২৪ মার্চ) ছিল সাকিবের জন্মদিন। একই দিন হার্ট অ‍্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি তামিম ইকবাল। বন্ধুর অসুস্থতার খবর শুনে মুহূর্তেই ‘আনন্দ মাটি হয়ে গেছে’ সাকিবের। তামিমের জন‍্য দোয়া চেয়েছেন এ টাইগার অলরাউন্ডার।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন পোস্টও শেয়ার করেছেন সাকিব আল হাসান। তার একদিন পর মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে তামিমকে দেখতে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাকিবের বাবা খন্দকার মাসরুর রেজা এবং মা শিরিন রেজা।

ছেলের দীর্ঘ দিনের সতীর্থ তামিমের হার্ট অ্যাটাকের খবর শুনে মূলত সাকিবের বাবা-মায়ের ছুটে আসা। সিসিইউতে তামিমকে দেখে আসেন তারা দুজন। এছাড়া লম্বা সময় তামিমের পরিবারের সঙ্গে কাটান তারা।

পরে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠার সময় সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা। তামিমের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে দোয়া করার কথা বলেন তিনি। মাশরুর রেজা বলেন, তামিমের সঙ্গে সাকিবের কথা হয়েছে কি না, আমি জানি না। তবে তামিম ভালো আছে। খুব শিগগিরই বাসায় চলে যেতে পারে।

আরওপড়ুন<<>>তিন মাস পর ‘খেলায়’ ফিরতে পারবেন তামিম

আমাদের এখন দোয়া করা ছাড়া আর কী আছে। তামিমকে দেখলাম, তার জন্য দোয়া করলাম। সাকিব-তামিমের বন্ধুত্ব প্রায় দুই দশকের জানিয়ে সাকিবের বাবা বলেন, এরও আগে থেকেও তামিমের পরিবারের সঙ্গে পরিচয় তার।

তামিমের বাবা আমার খেলার বন্ধু ছিলেন, আর তামিম তো আমার ছেলের মতোই। ওর জন্য গতকালও নামাজ পড়ে দোয়া করেছি। তামিমের মায়ের বিয়ের আগেই কিন্তু তার বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক বলেও জানান মাশরুর রেজা।

উল্লেখ্য, সোমবার সকালে বিকেএসপিতে ডিপিএলের ম্যাচ চলাকালে অল্প সময়ের মধ্যে দুবার হার্ট অ্যাটাক হয় তামিম ইকবালের। শুরুতে ঢাকায় নেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত তাকে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা সিপিআর ও ডিসি শক দেওয়ার পর কিছুটা স্থিতিশীল করা হয় তার অবস্থা। পরবর্তীতে এনজিওগ্রাম করার পর তার হার্টে রিং পরানো হয়।

আপন দেশ/এমএস

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়