
ছবি : সংগৃহীত
প্রথম লেগে ১–০ গোলে হারা ইন্টার মায়ামির দ্বিতীয় লেগেও শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতই। নবম মিনিটেই গোল হজম করে বসে তারা! দর্শকদের অনেকেই হয়তো তখনই ধরে নিয়েছিলেন, কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় ঘন্টা বাজতে চলেছে মেসিদের জন্য। কিন্তু না, এটা তো লিওনেল মেসির গল্প! আর মেসির গল্প এত সহজে শেষ হয় না। মেসি যখন দলে থাকেন, তখন শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যায় না।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সকালে, লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির মাঠে শুরুতেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। অ্যারন লংয়ের গোলে চুপসে যায় মায়ামি সমর্থকদের হৃদয়। কিন্তু মেসি ছিলেন মেসিই! ৩৫তম মিনিটে গোল করে দলকে ফেরান সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ পুরোপুরি বদলে যায়। ৬১ মিনিটে অ্যালেনের নিখুঁত চিপ থেকে গোল করেন রেদোনদো। অ্যাওয়ে গোলের হিসাব তখনও টানটান উত্তেজনা বয়ে আনছিল। সুয়ারেজের গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে, উত্তেজনার পারদ তখন চরমে।
অবশেষে ৮৪তম মিনিটে ঘটে সে মুহূর্ত, মায়ামি পায় পেনাল্টি। মেসি যেন আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন, কীভাবে বল জালে জড়াবেন। সফল স্পট কিকেই জয় নিশ্চিত করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। শেষ দিকে গোলরক্ষক অস্কার যেন হয়ে উঠেছিলেন অতুলনীয় রক্ষাকবচ। টানা দুটি অবিশ্বাস্য সেভ করে এলএএফসি–র আশা ছিনিয়ে নেন তিনি।
ম্যাচ শেষে স্কোরলাইন: ইন্টার মায়ামি ৩, লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি ১। দুই লেগ মিলিয়ে ৩–২ গোলে জিতে সেমিফাইনালে মেসিরা। সেমিফাইনালে মেসিদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ মেক্সিকান ক্লাব পুমাস অথবা এমএলএসের কানাডিয়ান ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।