Apan Desh | আপন দেশ

ডিপিএলে নিষিদ্ধ তাওহিদ হৃদয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৫০, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

ডিপিএলে নিষিদ্ধ তাওহিদ হৃদয়

ছবি : আপন দেশ

নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের অনুপোস্থিতিতে মোহামেডানের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তাওহিদ হৃদয়। তার নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত সব ম্যাচই জিতেছে সাদা কালোরা। তবুও সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ এসেছে। এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন হৃদয়। শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ চলাকালে আম্পায়ারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন তিনি। 

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই তো বাড়তি উত্তেজনা। এদিন দুই দলের খেলোয়ড়দের মাঝে কোনো ঝামেলা না হলেও ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। ব্যাটিংয়ে আবাহনী এবং প্রায় শুরু থেকেই আম্পায়ারদের চাপে রাখে ফিল্ডিং দল মোহামেডান। 

ম্যাচের পঞ্চম ওভারে মোহামেডানের মেহেদি হাসান মিরাজের পঞ্চম বলটি আবাহনীর ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমনের পায়ে লাগে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় তা লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে আঘাত করেছে। কিন্তু মাঠে তো আর রিপ্লে দেখার সুযোগ নেই। মোহামেডান ক্রিকেটাররা আউটের জোরালো আপিল করেন। আম্পায়ার নাকচ করে দেন। ওদিকে বারবার মাথা নেড়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মোহামেডান অধিনায়ক।

এরপর ঘটনা আরো তীব্র রূপ নেয় অষ্টম ওভারে। এবাদত হোসেনের প্রথম বলটি মোহাম্মদ মিঠুনের পায়ে লাগে। রিপ্লেতে দেখা যায় বল অফস্ট্যাম্পের বাইরে ছিল। কিন্তু এবাদত সহ মোহামেডানের ক্রিকেটাররা আউটের জোরালো দাবি তুলে চাপ সৃষ্টি করেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদের ওপর। তিনি সাড়া না দিলে মোহামেডানের খেলোয়াড়রা নাখোশ হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এক পর্যায়ে এগিয়ে আসেন আম্পায়ার সৈকত।

উত্তেজনা থামাতে আম্পায়ার সৈকত সবাইকে খেলায় ফিরতে বলেন। কিন্তু মিড অন থেকে লেগ আম্পায়ার সৈকতকে আঙ্গুল উঁচিয়ে কিছু বলছিলেন হৃদয়। হেঁটে হেঁটে দুজনই কাছাকাছি চলে আসেন এবং তাদের তর্ক বাড়তে থাকে। ওই সময় মিরাজ এসে হৃদয়কে দূরে সরান আর মুশফিকুর রহিম সৈকতকে তার জায়গার দিকে নিয়ে যান।

ম্যাচ জেতার পরও যেন হৃদয়ের মাঠের উত্তেজনা এতটুকু কমেনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আম্পায়ারদের ওপর নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন, হিট অব দ্য মোমেন্ট অনেক কিছুই হয়। তারাও (আম্পায়ার) মানুষ, তারাও ভুল করে। তারা ভুল করতেই পারে, মানুষ মাত্রই ভুল, আমরাও ভুল করব। কিন্তু ভুলটা স্বীকার করা উচিৎ। আমি যদি ভুল করি আমি স্বীকার করব।

আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করার বিষয়টি সামনে এলে মুখ খোলার হুমকিও দেন হৃদয়। আম্পায়ার সৈকতের নামোল্লেখ না করেই বলেন, তাকে আমরা সম্মান করি, সে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার, আমরাও আন্তর্জাতিক প্লেয়ার। আজকে যারা ছিল বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক প্লেয়ারই ছিল। এরকম বড় ম্যাচে একটা দুইটা ভুল সিদ্ধান্ত অনেক কিছু, বড় ব্যবধান তৈরি করে দিতে পারে। ঘটনা যদি অন্যদিকে যায় তাহলে অবশ্যই এটা নিয়ে মুখ খুলব ইনশাল্লাহ। আমি মুখ খুলব।

যদিও ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুলের সামনে শুনানিতে নিজের দোষ অবশ্য মেনে নিয়েছেন হৃদয়। তাই শাস্তি কমে মাত্র এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হয়। এছাড়া এবাদত হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিনটি ডি মেরিট দেয়া হয়।

শুনানিতে যাওয়ার আগে এক কথায় দেশের আম্পায়ারদের দিকে আঙুল তুলেছেন মোহামেডান অধিনায়ক, আমরা প্লেয়াররাও অনেক সম্মান করি আম্পায়ারদের। শুধু আমাদের প্লেয়ারদের ওপর দোষ দিলেই হবে না। আপনারা দেখেন, আম্পায়াররা এক- দুইজন ছাড়া সবাই যে খুব ভালো করে এরকম না।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়