
অ্যাথলেট জহির রায়হান
একজন ক্রীড়াবিদের জীবনে শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো খেলোয়াড়ের সাফল্যর চূড়ায় পৌঁছাতে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম আর শৃঙ্খলা মেনে চলা। কিন্তু অ্যাথলেট জহির রায়হান বারবার বোধহয় সেটি মানতে চাননা। যে কারণে আরও একবার নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ স্প্রিন্টার।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জহিরকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। পরে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল। একই কারণে আবারও তাকে ছয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফেডারেশন।
গত ২১-২৩ মার্চ চীনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে হিটে বাদ পড়ার পর গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, এমন অভিযোগে তাকে এবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফেডারেশন।
এছাড়া ঈদের ছুটির পর জাতীয় দলের ক্যাম্পেও তিনি আর যোগ দেননি। এসব ব্যাপারে কারণ দর্শানো নোটিশও দেয়া হয় তাকে। কিন্তু এসবের কোনও জবাবও দেননি জহির। সব মিলিয়েই এ শাস্তি দেয়া হয়েছে তাকে। এর ফলে আগামী ছয় মাস ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। কোনও ক্যাম্পেও যোগ দিতে পারবেন না। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
অবশ্য নিষেধাজ্ঞাযর বিষয়টি ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন জহির। তিনি বলেন, আসলে আমাকে নিয়ে হয়তো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সামনে এসএ গেমস। আমার মনোযোগ যেন অন্য দিকে থাকে, ট্র্যাক থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় মনোযোগ, এ কারণেই আমার বিরুদ্ধে এ শাস্তি। আমি ওয়ার্ল্ড ইনডোরে বাদ পড়ার পর মিথ্যা কথা তো কিছু বলিনি। আমি চুরিও করিনি। কোনও অন্যায়ও করিনি। যেটা সত্যি সেটাই বলেছি। এভাবে চলতে থাকলে তো সত্য কথাও বলা যাবে না। আমি এ শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করব।
এর আগে টোকিও অলিম্পিকে অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ছিলেন জহির রায়হান। বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করার ছয় মাসের মধ্যেই তখন কালো অধ্যায়ে নাম উঠে যায় এ অ্যাথলেটের।
ধর্ষণ মামলায় কারাগারে যাওয়া এবং বিনা অনুমতিতে প্রশিক্ষন শিবিরে অনুপস্থিত থাকায় টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা অ্যাথলেট জহির রায়হানকে অর্নিদিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।