Apan Desh | আপন দেশ

ফারুক আহমেদের আড়াইশ কোটি টাকা সরানো নিয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২১, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ফারুক আহমেদের আড়াইশ কোটি টাকা সরানো নিয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এফডিআরের বিপুল অঙ্কের অর্থ অন্য ব্যাংকে সরিয়ে নিয়েছে, এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই চলছিল ব্যাপক আলোচনা। শনিবার (২৬ এপ্রিলল) এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিসিবি। এর আগে এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ফারুক আহমেদ।

এ বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ২৩৮ কোটি টাকা। আমি কোথাও সাইন করি না। টাকাগুলো যে গেছে ওখানে, একটা নিউজ আসছে কেউ জানে না এটা হলো ওটার অ্যানসার। আর এখানে সবগুলা ২-৫ শতাংশ বেশি ইন্টারেস্ট রেটে দেয়া হয়েছে। 

বিসিবি সভাপতি আরও বলেছেন, রেড জোন থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনের ব্যাংকে নিয়ে গেছি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে ১২ কোটি টাকা। মোট আড়াইশ কোটি। এদের থেকে আমি স্পন্সর পেয়েছি ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি, আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছি আরও ২৫ কোটি টাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানায় দিবে।’  
 
এ নিয়ে আজ ব্যাখ্যা দিয়েছে বোর্ড। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, বোর্ডের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই টাকা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে তুলে অন্য ব্যাংকে পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ উদ্যোগের কারণে স্থায়ী আমানত থেকে বোর্ডের মুনাফাও বেড়েছে।

বোর্ড মনে করছে, ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল। শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো আর্থিক লেনদেন-সম্পর্কিত বিসিবির বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।  
 
গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। এরপর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদেও আসে পরিবর্তন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক পরিচালক মনোনীত হয়ে বিসিবির সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। 
 
বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়, আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদানের অংশ হিসেবে বোর্ড তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে। এছাড়া শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত গ্রিন ও ইয়েলো তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই লেনদেনে জড়িত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। 
 
বিবৃতিতে হয়, বোর্ড সভাপতি কোনও একক সিদ্ধান্ত বলে বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাংক পরিবর্তনের অথবা লেনদেনসংক্রান্ত নির্দেশ প্রদান করেন না। পার্টনার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিসিবির আর্থিক বিষয়ক লেনদেন স্বাক্ষর প্রদানকারী হিসেবে দুজন বোর্ড পরিচালক আছেন। বোর্ডের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম। বিসিবি সভাপতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরদাতা নন। 
  
এ বিষয়ে মাহাবুব আনাম বলেন, অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা অন্যত্র নেয়ার প্রক্রিয়ায় অভ্যন্তরীণ অডিট হওয়ার পরই আমরা সই করেছি। আগে যেহেতু কমিটি বণ্টন হয়নি, এগুলো সব প্রেসিডেন্টের ছিল। যেসময় সিদ্ধান্তগুলো বোর্ড নিয়েছে অথবা তৎকালীন যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি নিয়েছেন। যে ব্যাংক আমাদের বেশি রিটার্ন দিয়েছে সেখানে বেশি টাকা গচ্ছিত রাখা হয়েছে। কোনও ব্যাংকের প্রতি আলাদা কিছু নেই।
 
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি তার অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি ব্যাংকের হাতে দিয়েছে। এ ব্যাপারে জানানো হয়, এর ফলে আগের তুলনায় বিসিবির স্থায়ী আমানত থেকে ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে। 
 
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ছয় মাসে বর্তমান তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার আর্থিক স্পনসরশিপ পেয়েছে বিসিবি। এছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আরও প্রায় ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস পেয়েছে। 
 
বিবৃতির সঙ্গে সরবরাহ করা নথি অনুসারে, বিসিবি ‘রেড জোনে’ থাকা বেসরকারি খাতের মিডল্যান্ড, বেসিক, আইএফআইসি, এক্সিম, ইউসিবি ও সরকারি জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে এফডিআরের টাকা তুলে নিয়েছে। যা রাখা হয়েছে ইস্টার্ন, ব্র্যাক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, মেঘনা ও সিটি ব্যাংকে। কিছু অর্থ অগ্রণী ব্যাংকেও বিনিয়োগ করা হয়েছে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়