ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি তালিকাভুক্ত ৩৫ কোম্পানির শেয়ার বাদে বাকি সব কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্ট। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ডিএসইর প্রধান সূচক নেমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩১২ পয়েন্টে। এ সময়ে ডিএসইর সূচক কমেছে ১ হাজার ২৪ পয়েন্ট বা ১৬.১৬ শতাংশ।
এদিকে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর তালিকাভুক্ত ৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ২০০টির বেশি কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের নিচে অবস্থান করছে। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর ১০টি কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে ৫৬ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ। কোম্পানিগুলো হলো-জিএসপি ফিন্যান্স, আইপিডিসি ফিন্যান্স, রিং শাইন টেক্সটাইল, বে-লিজিং, এইচআর টেক্সটাইল, ফনিক্স ফিন্যান্স, ফরচুন সুজ, বিডি ফিন্যান্স, বিডি ল্যাম্পস ও ডরিন পাওয়ার।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে জিএসপি ফিন্যান্সের দাম কমেছে ৭০ শতাংশ, আইপিডিসি ফিন্যান্সের ৬৫ শতাংশ, রিং শাইন টেক্সটাইলের ৬৩ শতাংশ, বে-লিজিংয়ের ৬৩ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইলের ৬০ শতাংশ, ফনিক্স ফিন্যান্সের ৬০ শতাংশ, ফরচুন সুজের ৫৯ শতাংশ, বিডি ফিন্যান্সের ৫৮ শতাংশ, বিডি ল্যাম্পসের ৫৬ শতাংশ ও ডরিন পাওয়ারের ৫৬ শতাংশ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর এক পর্যায়ে সূচক নেমেছিল ২৩৯ পয়েন্ট। তারপর বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। ফ্লোর প্রত্যাহারের তিন সপ্তাহের মাথায় ১১ ফেব্রুয়ারি ডিএসই খোয়া যাওয়া সূচক ২৩৯ পয়েন্ট উদ্ধার করে আরও ১১১ পয়েন্ট বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করে ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে।
তারপর থেকেই ধারাবাহিক পতন। সেই পতনের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের রেকর্ড পতন এবং আসন্ন বাজেটে গেইন ট্যাক্স আরোপ গুঞ্জন। এ দুই পতনের ধাক্কায় ডিএসই সূচক উধাও হয়ে গেছে ৩৮৪ পয়েন্ট।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।