ফাইল ছবি
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের পঞ্চম সাব–অর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংকটি মূলধন বৃদ্ধিতে এ বন্ড ছাড়বে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ বন্ড ছাড়ার বিষয়টি প্রথম জানায় ডাচ্–বাংলা ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ১ কোটি টাকা মূল্যের মোট ১ হাজার ২০০টি বন্ড ছাড়বে ডাচ্–বাংলা ব্যাংক। এ বন্ড আন সিকিউরড, নন-কনভার্টেবল ও রিডিমেবল। সাব–অর্ডিনেটেড বন্ডের বৈশিষ্ট্য হলো এ বন্ডের ঋণ পরিশোধ অন্যান্য বন্ডের তুলনায় কম অগ্রাধিকার পাবে। ধরা যাক, কোনো কোম্পানি আর্থিকভাবে বিপদে পড়েছে এবং সে সময় তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে, এ বাস্তবতায় সাব–অর্ডিনেটেড বন্ডধারীদের ঋণ পরিশোধ করা হবে সবার পর।
কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় পরিচালক ও অন্যান্য ঋণগ্রহীতাদের দায় মেটানোর পর সাব–অর্ডিনেটেড বন্ডধারীদের অর্থ পরিশোধ করা হবে। সে সঙ্গে এ বন্ড কোম্পানির শেয়ারের সঙ্গে বিনিময় করা যাবে না।
২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা। বছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৭১ পয়সা আয় হয়েছিল।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০২৩ সালের জন্য ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটির পুনর্মূল্যায়নকৃত শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৬৪ টাকা ৪১ পয়সা, ২০২২ সালে যা ছিল ৫৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
এ ছাড়া সে বছর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২৮ টাকা ৩৭ পয়সা।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।