ছবি সংগৃহীত
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নতি করতে হলে শক্তিশালী শেয়ার বাজারের বিকল্প নেই৷ আর শক্তিশালী বাজার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষিত-সচেতন বিনিয়োগকারীর গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষিত সচেতন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, বাজার তত বেশি স্থিতিশীল হবে৷
তিনি বলেন, শিক্ষিত বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেখে শুনে ভালো মৌলভিত্তি (ফান্ডামেন্টাল) শেয়ারে বিনিয়োগ করেন৷ অনেক বিনিয়োগকারীরা না বুঝেই হুজুগে বা গুজবে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্থ হন৷ যা বিনিয়োগকারীসহ শেয়ার বাজারের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ বলেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএসই’র মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ইন-চার্জ) মোঃ ছামিউল ইসলাম এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ট্রেনিং অ্যাকাডেমির প্রধান আল আমিন রহমান উপস্থিত ছিলেন৷
চার দিনব্যাপী ‘Fundamental Analysis, Investment Techniques & Tools’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে ডিএসই। কর্মশালার সমাপনী এদিনে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন<<>> সয়াবিন তেলের বিষয়ে যে সুখবর দিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
প্রধান অতিথি হিসেবে মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, এ মার্কেটে বিনিয়োগ করার জন্য ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসই গুরুত্বপূর্ণ। ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের পাশাপাশি বিনিয়োগ কৌশল ও সরঞ্জামও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো একে অপরের সঙ্গে পারস্পরিকভাবে সম্পর্কিত। এগুলো একটি সিগন্যাল দেয় বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে। ডিএসইর পক্ষ থেকে আমরা সব সময়ই বলে থাকি ফান্ডামেন্টাল জেনে বুঝে বিনিয়োগ করুন। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হতে পারে। কোম্পানির ইপিএস, এনএভি, পিই রেশিও, উদ্যোক্তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি যাচাই করে বিনিয়োগ করুন। কোম্পানির সার্বিক বিষয়াদির পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণই বিনিয়োগের মূলমন্ত্র হতে হবে। আমরা মনে করি, একটি সচেতন বিনিয়োগকারী বাজারের উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
শেয়ার বাজার আবেগের স্থান নয় মন্তব্য করেন মান্নান ইমন। বলেন, এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ করে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল (মৌলভিত্তি) দেখে বিনিয়োগ করতে হয়। ঝুঁকি এড়িয়ে শেয়ার বাজার থেকে ভালো মুনাফা করার জন্য বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির সার্বিক আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে অবগত হওয়া জরুরী। আর এ বিষয়ে জানার মাধ্যম হলো কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ।
কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হলে নিজের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মাইক্রো এনালাইসিস, মাইক্রো-ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস, কোম্পানি এনালাইসিস, ভ্যালুয়েশন ফান্ডামেন্টালস-মেথড বিষয়ে আলোচনা করেন। এমধ্যে এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়ের আল-মামুন, শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের হেড অব রিসার্চ এন্ড স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এস. এম. গালিবুর রহমান, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের হেড অব ইক্যুইটি রিসার্চ তনয় কুমার রয় এবং সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডের হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এ. কে. এম. ফজলে রাব্বি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
