Apan Desh | আপন দেশ

ইসলাম ধর্ম

অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো পাপ

অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো পাপ

পৃথিবীতে দোষমুক্ত মানুষ নেই। সুতরাং নিজের মধ্যে দোষ রেখে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো চরম বোকামি। কোনো ব্যক্তির মন্দ গুণ থাকলে সেসব গুণ প্রকাশ করতে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে। এ বিষয়ে মহানবী (সা.) অন্যের দোষ এড়িয়ে যেতে বলেছেন। রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের চোখে পতিত সামান্য ময়লাটুকুও দেখতে পায়, কিন্তু নিজ চোখে পতিত খড়কুটাও (বেশি ময়লা) দেখে না। (সহিহ ইবনে হিববান, হাদিস : ৫৭৬১) যে ব্যক্তি অন্যের দোষ খোঁজে আল্লাহ তার দোষ খোঁজেন। মহানবী (সা.) মানুষের দোষ-ত্রুটি খুঁজতে নিষেধ করেছেন এবং এর মন্দ পরিণতি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা দোষ-ত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষ-ত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩২) অন্য হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয় বিষয় গোপন রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার গোপনীয় বিষয় গোপন রাখবেন। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয় বিষয় ফাঁস করে দেবে, আল্লাহ তার গোপনীয় বিষয় ফাঁস করে দেবেন।

০৯:০১ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোববার

অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করতে ইসলামে মানা

অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করতে ইসলামে মানা

অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা মন্দ স্বভাবের কাজ। এ কাজের জন্য মানুষকে ঘৃণিত ও নিন্দিত হতে হয়। স্বাভাবিকভাবে এটাকে বদ স্বভাব মনে করা হয়। এরপরও কিছু লোক এমন আছে, যারা অহেতুক প্রশ্ন করতে আগ্রহী। ইসলামে যেসব বিষয়ে কোনো বিধান দেয়া হয়নি, সেগুলো নিয়ে বিনা প্রয়োজনে প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন তুলতে থাকে। পবিত্র কোরআনে এরূপ প্রশ্ন না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা এমন সব বিষয়ে প্রশ্ন কোরো না, যা প্রকাশ করা হলে তোমাদের কাছে অপ্রীতিকর মনে হবে।...’ (সুরা মায়েদা: ১০১) এ আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট হিসেবে বর্ণিত আছে, হজ ফরজ হওয়া-সম্পর্কিত আদেশ অবতীর্ণ হলে হজরত আকরা ইবনে হাবেস (রা.) প্রশ্ন করে জানতে চাইলেন, প্রতিবছরই হজ করা ফরজ কি না? প্রশ্নকারী তৃতীয়বার প্রশ্ন করলে শাসনের সুরে রাসুল (সা.) বললেন, যদি আমি তোমার উত্তরে হ্যাঁ বলে দিতাম, তবে তা-ই হয়ে যেত। কিন্তু তুমি তো এ আদেশ পালন করতে সক্ষম না। এরপর বললেন, যেসব বিষয় সম্পর্কে আমি তোমাদের কোনো নির্দেশ না দিই, সেগুলোকে সেভাবেই থাকতে দিয়ো, ঘাঁটাঘাঁটি করে প্রশ্ন কোরো না। তোমাদের আগে বহু উম্মত বেশি বেশি প্রশ্ন করে ধ্বংস ডেকে এনেছে। আল্লাহ ও রাসুলগণ যেসব বিষয় ফরজ করেননি, তারা প্রশ্ন করে সেগুলোকে ফরজ করিয়ে নিয়েছিল। পরে সেগুলোর বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত হয়েছিল।

০৯:৩৬ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

জুমাবার দুই ঈদের দিনের থেকেও মহান

জুমাবার দুই ঈদের দিনের থেকেও মহান

ইসলামে জুমার দিনের অপরিসীম গুরুত্ব। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছে। জমা আরবি শব্দ। এর অর্থ একত্র হওয়া বা একত্র করা। পবিত্র কোরআনে সুরা জুমা নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা রয়েছে। তাফসিরবিদরা বলেন, সুরা জুমার আগের সুরার নাম হলো সুরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয়। এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, এতে এ ইঙ্গিত রয়েছে। প্রত্যেক সাবালক জ্ঞান-সম্পন্ন মুসলমান পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ পড়া ফরজ। এ নামাজ জামাআতে আদায় করতে হয়। এ কারণেই মহান আল্লাহ জুমার দিন দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন-

১০:২২ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার

আল্লাহর কাছে চাওয়ার উত্তম দোয়া

আল্লাহর কাছে চাওয়ার উত্তম দোয়া

দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়া ইবাদতের মূল। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন। رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا كَذَا وَ كَذَا، يَا مُؤْنِسَ كُلِّ وَحِيْدٍ! وَيَا صَاحِبَ كُلِّ فَرِيْدٍ! وَيَا قَرِيْبًا غَيْرَ بَعِيْدٍ! وَيَا شَاهِدًا غَيْرَ غَآئِبٍ! وَيَا غَالِبًا غَيْرَ مَغْلُوْبٍ! يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ! يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ! يَا نُوْرَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! وَيَا زَيْنَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! يَا جَبَّارَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! يَا عِمَادَ السَّمٰوٰتِ وَ الْأَرْضِ! يَا بَدِيْعَ السَّمٰوٰتِ وَ الْأَرْضِ، يَا قَيَّامَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! يَا ذَاالْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ! يَا صَرِيْخَ الْمُسْتَصْرِخِيْنَ! وَمُنْتَهَى الْعَآئِذِيْنَ! وَالْمُفَرِّجُ عَنِ الْمَكْرُوْبِيْنَ! وَالْمُرَوِّحُ عَنِ الْمَغْمُوْمِيْنَ! وَمُجِيْبَ دُعَآءِ الْمُضْطَرِّيْنَ! وَيَا كَاشِفَ الْمَكْرُوْبِ! يَاۤ إِلٰهَ الْعَالَمِيْنَ، وَيَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ! مَنْزُوْلٌ بِۢكَ كُلُّ حَاجَةٍ. উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফি দুনিয়াঁ কাজা ও কাজা, ইয়া মুঊনিসা কুল্লু ওহিদিন! ওয়া ইয়া সাহিবা কুল্লি ফরিদিন! ওয়া ইয়া কারিবান গায়রে বায়িদিন! ওয়া ইয়া শাহিদান গায়র গায়িবিন! ওয়া ইয়া গালিবান গায়রা মাগলুবিন! ইয়া হাইয়ু ইয়া কায়্যূম! ইয়া যাল জালাল ওয়াল ইকরাম! ইয়া নূরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ওয়া ইয়া জাইনাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ইয়া জাব্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ইয়া ইমাদাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ইয়া বাদিয়াস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ইয়া কায়্যামাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ইয়া যাল জালাল ওয়াল ইকরাম! ইয়া সরীখাল মুস্তাসরেখীন! ওয়া মুনতাহাল আইঈদিন! ওয়া মুফার্রিজু আনিল মাকরূবীন! ওয়া মুরওয়িহু আনil মাঘমূমীন! ওয়া মুজীবাদ দুআয়াল মুদ্তারিন! ওয়া ইয়া কাশিফাল মাকরূব! ইয়া ইলাহাল আলামীন, ওয়া ইয়া আরহমার রাহিমীন! মানজূলুন বিক কুল্লু হাজাহ।

১১:৫২ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এ দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।  ৫৭০ সালের এ দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’র যুগ।  তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এ অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।

০৮:৪৬ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার

Advertisement
সর্বাধিক পঠিত
Advertisement