Apan Desh | আপন দেশ

লেখক বৃত্তান্ত:

আফজাল বারী

আফজাল বারী

প্রধান সম্পাদক, ডেইলি আপন দেশ ডটকম

বেনামি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে মোরশেদ আলমের শত শত কোটি টাকা পাচার

বেনামি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে মোরশেদ আলমের শত শত কোটি টাকা পাচার

আওয়ামী লীগে সাবেক এমপি, বেঙ্গল গ্রুপের মালিক মো. মোরশেদ আলম। তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই যুগ ধরে উৎপাদন, আমদানি-রফতানিসহ যাবতীয় কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্তিত্বহীন কথিত ‘বিদেশি’ নাগরিকদের। তাদের দেখানো হচ্ছে- প্রতিষ্ঠানটির ‘চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ এবং ‘পরিচালক’ হিসেবে। বোর্ড মিটিংয়ের রেজুলেশন, অফিসিয়াল রেকর্ডপত্র, কাঁচামাল আমদানি ও ফিনিশড গুড রফতানি, স্থানীয়বাজারে বিক্রি, এমনকি ব্যাংকের লেনদেনও অস্তিত্বহীন ব্যক্তিদের স্বাক্ষরেই! কে বা কারা এ স্বাক্ষর করছে, সেটি স্বচক্ষে দেখেননি প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারি। এমনকি যেসব ব্যাংকে লেনদেন হচ্ছে, তারাও কথিত বিদেশি নাগরিকদের সই-স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। এমন ভুতুড়ে প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘হ্যাঙ্গার্স প্লাস (বাংলাদেশ) লিমিটেড’।
ওয়াকিদের স্মার্ট ক্যারিশমায় শীর্ষ খেলাপিরাও পেত সিআইবি ছাড়পত্র 

ওয়াকিদের স্মার্ট ক্যারিশমায় শীর্ষ খেলাপিরাও পেত সিআইবি ছাড়পত্র 

ব্যাংকের খাতের অনিয়ম, লোপাটের ভয়ঙ্কর চিত্র ফুটে উঠছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ একেকটি ঘটনার ভয়াবহতা আঁতকে উঠার মতো। আর্থিক খাতে অনিয়মের লাগাম ধরার কথা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের, কিন্তু ঘটেছে উল্টো। ভুয়া ছাড়পত্রের কারখানা হয়ে উঠেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খেলাপি গ্রাহককে ‘নিয়মিত’ দেখানো হতো এখান থেকেই। এ ছাড়পত্র দেখিয়েই খেলাপি ধরার জাল ভেদ করে ‘ক্লিনম্যান’ চিহ্নিত হতো দেশের হাজার হাজারো ঋণখেলাপি ও জনপ্রতিনিধি। এছাড়াও ঋণ থাকার পরও ভুয়া কাগজে ঋণের নামে লাখ কোটি টাকা হরিলুট করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, তাইপে গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তি।
ন্যাশনাল লাইফের সাড়ে চারশ’ কোটি টাকা মোরশেদের পেটে

ন্যাশনাল লাইফের সাড়ে চারশ’ কোটি টাকা মোরশেদের পেটে

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দীর্ঘ ফ্যাসিজমকে টিকিয়ে রাখতে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেন কিছু ব্যবসায়ী নামধারী অলিগার্ক। তার পাশে দাঁড়িয়ে দিয়েছেন ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান। তার ত্রাণ তহবিলে শত শত কোটি টাকা ‘দান’ করে ‘ভালো মানুষী’ সনদ কিনেছেন। বিপরীতে এসব অলিগার্ক হাসিনার সঙ্গে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ বিক্রি করেছেন হাজার হাজার কোটিতে। ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লুটে নিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। এমনই এক অলিগার্ক  মোরশেদ আলম। আপন দেশ-এর টানা তিন মাসের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে হাসিনার দোসর,আ’লীগ নেতা মোরশেদ আলমের দুর্নীতির ভয়াবহ তথ্য। এ প্রক্রিয়ায় তার মালিকানাধীন বীমা প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’-এর কিছু দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হলো।
রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক এখনো স্বাধীন হয়নি! পদোন্নতি মিলে তার ইশারায়

রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক এখনো স্বাধীন হয়নি! পদোন্নতি মিলে তার ইশারায়

জেনারেশন-জেড-এর রক্তে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু এখনো স্বাধীন হয়নি রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। দু’বছর আগে অবসরে যাওয়া একজন এমডির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে ব্যাংকটিতে। তাঁর দেয়া ঝারফুক আর তাবিজেই মিলে পদোন্নতি। তবে তার রেখে যাওয়া এমডির চেয়ারে কে বসবেন। ডিএমডি হবেন কে। পদোন্নতির চিঠি যাবে কার হাতে। বঞ্চিতের বার্তা পাবেন কে। আবার মেধারগুণে কারো পদোন্নতি হয়েই গেলে তা কিভাবে ঠেকাতে হবে-এ সিদ্ধান্ত এখনো আসছে তার কাছ থেকেই। বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী সেই ব্যাংকারের নাম  মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম।
বিএনপির যে চিঠিতে তৃণমূলে ঝড়, ক্ষোভের আগুন শরিকে

বিএনপির যে চিঠিতে তৃণমূলে ঝড়, ক্ষোভের আগুন শরিকে

বিএনপির তৃণমূলে দেয়া হয়েছে এক পাতার চিঠি। কেন্দ্রের পাঠানো এ চিঠিতে দলের তৃণমূলে বইছে ঝড়। আর এ ঝড়ো হাওয়ায় বাসমান কষ্টের তীর বিধেছে যুগপদ আন্দোলনের শরীকদের দিলেও। ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে যন্ত্রণা। যেনো জাতীয় নির্বাচনের আগেই তাদের মনে ক্ষোভের আগুন চলছে। এদিকে বিএনপির দফতর থেকে বাগিয়ে নেয়া চিঠি বাজারজাতও করছে সুবিধাপ্রাপ্ত মিত্ররা। কপাল পোড়ার আগাম বার্তা পেয়েছেন বিএনপিরই অনেকে। চিঠি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর কেনো সমেত প্রশ্নবানে বিদ্ধ হচ্ছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে, ক্ষোভ কমাতে পাঠাতে হচ্ছে নতুন চিঠি। 
পরীক্ষা ছাড়াই ‘বাবার কোটায়’ বিসিএস ক্যাডার মিকি!

পরীক্ষা ছাড়াই ‘বাবার কোটায়’ বিসিএস ক্যাডার মিকি!

সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতদের স্বপ্ন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) । সে স্বপ্নের বিসিএস আলোচনাতেই আসে ‘আবেদ ক্যাডার’ ব্যঙ্গাত্বক শব্দ। গাড়ী চালক আবেদ আলীর দেয়া প্রশ্নপত্র পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হতো। কিন্তু এর চেয়ে ভয়ঙ্কর ক্যাডারের খোঁজ মিলেছে। ‘উত্তরাধিকার ক্যাডার’। বাবা বিসিএস ক্যাডার তাই পরীক্ষা না দিয়েই হাতের নাগারে বিসিএস ক্যাডার সনদ। ওই ক্যাডারধারীর নাম নাবিলা তাবাসসুম মিকি! মিকির বাবা ১৯৮৪’র প্রশাসন ক্যাডার। আলোচিত মিকি নাম এখন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের পিয়ন-পেয়াদারও মুখেমুখে। তিনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী। 
হাওয়া ভবন টু গণভবন, ‘নাচের পুতুল’ জাপা

হাওয়া ভবন টু গণভবন, ‘নাচের পুতুল’ জাপা

বরাবরই ক্ষমতাসীনদের ‘নাচের পুতুল’ হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টি। সে পার্টির শীর্ষ নেতা বেগম রওশন এরশাদ। চলতি সংসদের সদস্য। এক সময়ের ফাস্ট লেডি। রাজনীতিতে ডিগবাজির স্বভাবটা তার যেন দু’আনা সূত্রে প্রাপ্ত। ঝোপ বুঝে কোপ দেয়ার নজির তিনি। সব সময় পাওয়ারের দিকে হেলেন। ঘনঘন যাতায়াত তার হাওয়া ভবন টু গণভবন। জীবদ্দশায় স্বামী এইচ এম এরশাদকে যেভাবে ল্যাং মেরেছিলেন ১৬ বছর পর একই কায়দায় ল্যাং মারলেন দেবর জিএম কাদেরকেও। রাজনীতির মাঠে ফাষ্ট লেডি রওশন এরশাদ এখন ‘হাসির খোরাক’। তাকে নিয়ে ফায়দা লোটার সাজানো-পাতানো আয়োজন হয়ে আসছে দেড়যুগ ধরেই। তবে এবারের স্ক্রিপটা দুর্বল হয়েছে, পাকার আগেই ভাঙ্গা হয়েছে কাঠাল-এমন মন্তব্য সমালোচকদের।
এস আলম গ্রুপের এবার ৫ ব্যাংকের জরিমানা ২৮১ কোটি টাকা

এস আলম গ্রুপের এবার ৫ ব্যাংকের জরিমানা ২৮১ কোটি টাকা

বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। এখানের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষের ধর্ম ইসলাম। পণ্য, প্রতিষ্ঠানের বা সংগঠনের নাামের আগে-পরে ‘ইসলাম’ শব্দ জুড়ে দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। ধর্ম নিয়েও চলছে রাজনীতি। দাবি উঠেছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের। আর্থিকখাতও এই ‘ইসলাম’ শব্দ ব্যবহার ও অপব্যবহারে বসে নেই। দেশের ব্যাংকখাতে বেশ কিছু ব্যাংকের নামের আগে-পরে ইসলাম শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে লাভ-ক্ষতির হিসাবটা দৃশ্যমান নয়। দাবি করা হয় নামের আগে-পরে ‘ইসলাম’ শব্দ ব্যবহারকারী সব ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালিত হয় শরিয়াহভিত্তিক।
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ: শাহ পরানের দুর্নীতির বাক্স ভরছে কোটি টাকায়   

গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ: শাহ পরানের দুর্নীতির বাক্স ভরছে কোটি টাকায়   

সরকারি প্লট, ফ্ল্যাট হস্তান্তর, পুণর্বাসন প্লট, নামজারি, প্লট বিক্রয় অনুমতি, বরাদ্দ ইত্যাদি কাজে  তার টেবিল পার করতে গুনতে হয় টাকার বাণ্ডেল। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ের তিন তলায় ৩০৬ নম্বর কক্ষের বসে সহকারীদের মাধ্যমে নিচ্ছেন এ বখরা। প্রভাব আর সাদাকালো অর্থই দেলোয়ার হোসেনের জীবনের গতি পাল্টে দিয়েছে। যেমন পাল্টিয়েছেন রাজনৈতিক আদর্শ। সাইসাই পেয়েছেন পদোন্নতি। গাড়ী, বাড়ী, ব্যাংক ব্যালেন্স, দেশ-বিদেশে বিনিয়োগের হিসাব রাখতে এখন তার লাগছে ক্যাশিয়ার। নিত্যদিন দানছদকায় যেমন ভরে উঠছে সিলেটের শাহ পরানের মাজারের দানবাক্স, ঠিক তেমনই টাকার বাণ্ডিল ছাড়া কোনো ফাইল ছাড়েন না জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উচ্চমান সহকারী শাহ পরান।
?>